বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ সংস্কার না করায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় লাখো মানুষ

- আপডেট সময় : ১১:০৮:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০
- / ১৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
বন্যার কবল থেকে মৌলভীবাজারের জনবসতি ও হাওড়ের ফসল রক্ষায় মনু নদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামত ও নদী খনন কাজ এবং বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ সংস্কার না করায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় লাখো মানুষ। কর্তৃপক্ষ বলছে, মনু নদী শহর রক্ষা বাঁধ পাকা করণ কাজ শুরু হয়েছে।আর পুরো প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন হলেই মনু নদীর বন্যা সমস্যার সমাধান হবে।
প্রতিবছর বর্ষায় মৌলভীবাজারের মনু নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে জনবসতি ও হাওড়ের ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এক সময়ের খরস্রোতা নদীটি নাব্যতা হারিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এই নদী খননের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কিন্তু কিছু খনন কাজ করার পর অজুহাত দেখিয়ে প্রকল্প বাতিল হয়ে যায়। এদিকে বর্ষা মৌসুম সমাগত হওয়ায় মনু পাড়ের জনবসতির লোকজনের মধ্যে বন্যা আতংক ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কুশিয়ারা নদীর মুখ হতে মনু ব্যারেজ পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার মনু নদী ড্রেজিংয়ের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। ঢাকার বিডিএল নামীয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই কাজটি পায়। গত বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টেন্ডারের মেয়াদ ছিল। মেয়াদ শেষ হলেও ড্রেজিং কাজ শুরুই হয়নি।
ভারত সীমান্ত থেকে ৭২ কিলোমটার মনু নদীর দুই তীরের বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ তিন শতাধিক স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক স্থানে পুরেনো ভাঙ্গেই মেরাত হয়নি।এতে বর্ষা আসার আগেই লাখো মানুষের মনে আতংক দেখা দিয়েছে। শহর রক্ষাবাঁধের পাকাকরণের জন্য ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী। আর পুরনো প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের জন্য ১১শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। সঠিক সময়ে মনু নদী খনন ও শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে-এমনটাই প্রত্যাশা মৌলভীবাজারবাসীর।