সেচ না দেয়ায় প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমিতে চলতি মওসুমে বোরো আবাদ হচ্ছে না

- আপডেট সময় : ০২:২৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৬৬ বার পড়া হয়েছে
হবিগঞ্জে ঘুঙ্গিয়াজুড়ি হাওড়ের একাংশে সেচ না দেয়ায় প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমিতে চলতি মওসুমে বোরো আবাদ হচ্ছে না। দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে, চরম দুর্ভোগে কয়েক হাজার কৃষক। এরই মধ্যে ইংল্যান্ড পাড়ি জমিয়েছেন সেচ প্রকল্পের মালিক জয়নাল আবেদীন সালেক। বিষয়টি জানা থাকলেও, সমাধানের কোন উদ্যোগ নেই প্রশাসনের।
হবিগঞ্জ শহর সংলগ্ন তেঘরিয়া ইউনিয়নের রামপুর, গোবিন্দপুর, আওড়া মসলিসপুর, লামাপইলসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারো কৃষক বোরো চাষ করে ঘুঙ্গিয়াজুরি হাওড়ে। মৌসুমে এ হাওড়ে ৫০ হাজার মন ধান উৎপাদিত হয়। প্রতি বছর হাওড়ের একাংশে রামপুর গ্রামের ইংল্যান্ডপ্রবাসী জয়নাল আবেদীন সালেক তার ব্যক্তি পাম্প দিয়ে নদী থেকে জমিতে সেচ দেয়। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়নে বোর্ডের কাছে তার বকেয়া পড়েছে ১৩ লাখ টাকা। চলতি বোরো মৌসুমে বকেয়া পরিশোধ করে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার ভাইয়ের সাথে দ্বন্দ্বের কারণে, বিদ্যুৎতের বকেয়া পরিশোধ না করেই ইংল্যান্ড পাড়ি জমান তিনি। ফলে সেচ বন্ধ থাকায়, হাহাকার নেমে এসেছে কৃষকদের মধ্যে। পানির অভাবে নষ্ট হয়েছে জমি, তেমনি বীজতলা খাওয়াতে হচ্ছে গরু দিয়ে।৫০ হাজার মন ধান ও কয়েক লাখ টাকার শ্রম মজুরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারনে, জয়নাল আবেদীনের শাস্তি দাবি করেণ স্থানীয় ইউপি মেম্বার।
সমস্যা সমাধানে স্থানীয়দের ডাকা হলেও কেউ সাড়া দেয়নি। কৃষকদের আগ্রহ না থাকায়, তার কিছু করার নেই বলে জানান অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীন সালেকের ভাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠি দেয়া হলেও নতুন সংযোগ নিতে তেমন আগ্রহ দেখায়নি সালেকের লোকজন। তাই সেচ সংযোগটি বর্তমানে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
প্রকল্পটি ব্যক্তিমালিকানাধীন হওয়ায়, আপাতত কিছু করার নেই বলে জানিয়েছে বিএডিসি।