মাতৃভাষার চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আদিবাসীরা

- আপডেট সময় : ০৪:২৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-জাতি গোষ্ঠীর মাতৃভাষা সংযুক্ত না করায়, মাতৃভাষার চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আদিবাসীরা। আদিবাসী গ্রামগুলোতে নিজেদের মাতৃভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে। ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্টির ভাষা চর্চায় কোন প্রতিষ্ঠান না থাকায়, আদিবাসী জনগোষ্টির শিশুরা মাতৃভাষা পড়তে-লিখতে পারে না। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, নৃ-গোষ্টির ভাষা চর্চায়, উপজেলা পর্যায়ে মাতৃভাষা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। জমি বরাদ্দ পেলেই বিদ্যালয় নির্মাণ শুরু হবে।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা উপজেলায় খাসি, গারো ,মনিপুরি, ত্রিপুরা, মুন্ডা, ওরাঁও সহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ জাতিগোষ্ঠী প্রায় এক লাখ মানুষের বসবাস। তাদের নিজস্ব ভাষা, কৃষ্ঠি ও সংস্কৃতি থাকলেও, বাংলা ভাষা শিখতে গিয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে মাতৃভাষা; আর বিপাকে শিশুরা। বিদ্যালয়ে বাংলা বুঝতে না পারায়, এ ভাষাকে রপ্ত করতে ব্যস্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা। এতে নিজেদের মাতৃভাষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, বাংলার পাশাপাশি যেন তাদের মাতৃভাষাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়।
২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় থাকার কথা। তারপর প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে- চাকমা, মারমা, ককবোরক ,মান্দি ও সাদরি ভাষার পাঠ্যপুস্তক তৈরি, শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ আনুসাঙ্গিক প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু ১০ বছরেও সেই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায়, মাতৃভাষা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত আদিবাসী শিশুরা। এ ব্যাপারে সরকার উদ্যোগী হয়েছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে প্রক্রিয়াটি চালু হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি ।
বাংলা ভাষার পাশাপাশি মৌলভীবাজারে বাসবাসরত ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির মাতৃভাষায় প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি আদিবাসী জনগোষ্টির।