আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত ঝিনাইদহের কৃষক
- আপডেট সময় : ০৫:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
বাড়তি লাভের আশায় ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় আগাম শীতকালীন সবজি ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকদের। তবে, মৌসুমের শুরুর দিকে রোগ-বালাই ও সংক্রমণের ঝুকি থাকায় কৃষকদের বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ কৃষি বিভাগের। জেলায় শীতকালীনসহ চাহিদার তুলনায় বার্ষিক উদ্বৃত্ত সবজির পরিমান ৪ লক্ষ ৯৬ হাজার পাঁচ শ’ ৮৪ দশমিক ৩২ মেট্রিকটন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গিলাপোল গ্রামের এই সব্জি ক্ষেত। আগাম শীতকালীন শিমের চাষ হয়েছে এখানে। আর ১০ দিন পরেই, এই ক্ষেতের শিম তোলা যাবে বাজারে। তাই, তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ক্ষেত পরিচর্যা করছেন কৃষকরা।
এমনিভাবে ঝিনাইদহ সদরের গিলাপোল, সাধুহাটি, এনায়েতপুর, বৈডাঙ্গাসহ বিভিন্ন উপজেলায় মাঠের পর মাঠ শিম,বরবটি,বাধাকপি,ফুলকপি সহ অন্যান্য আগাম শীতকালীন সবজির ক্ষেত। ফুলকপি ও বাঁধা কপি ১০ থেকে ১৫দিন পর বাজারে বিক্রি করা যাবে। কৃষকদের আশা, মিলবে ভালো দামও।
অনেক ক্ষেতে পোকা দমনে ফাঁদ ব্যবহার হয়েছে। রোগ সংক্রমণ ঠেকাতে কীটনাশক স্প্রে চলছে। কুপিয়ে দেয়া হচ্ছে সবজির গোড়ার মাটি। তবে সার-কীটনাশকের দাম বেশী, তাই বাড়ছে উৎপাদন খরচ।
বর্তমানে দিন ও রাতের আবহাওয়ার তারতম্যে কিছু সবজির গোড়া পচা, মাছি পোকা সংক্রমণ, স্পট তৈরি রোগের সংক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে ছত্রাক নাশক সহ অন্যান্য কীটনাশক পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার এবং ফেরোমোন ফাদ ব্যবহার করলে কৃষক উপকৃত হবে, কমে আসবে উৎপাদন খরচ।
পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ২০ লক্ষ পাঁচ হাজার ৮শ’ জনসংখ্যার জন্য বার্ষিক শাক-সবজির চাহিদা প্রায় দেড় লক্ষ মেট্রিক টন।























