দুই বছরেও চালু হয়নি জাহাজ থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ প্রকল্প
- আপডেট সময় : ০৫:১৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
নির্মাণ কাজ শেষে দুই বছরেও চালু হয়নি জাহাজ থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ প্রকল্প। প্রকল্পটির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনায় ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়ায় পাইপলাইন কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। জ্বালানি পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে প্রকল্পটি চালু করা গেলে সাগরের বহির্নোঙরে জাহাজ থেকে তেল খালাসে গতি আসবে। আর এতে বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা।
আমদানির জ্বালানি তেল দ্রুত ও কম খরচে খালাসে ২০১৫ সালে এসপিএম প্রকল্প নেয় ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড। লক্ষ্য ছিল সাগরের তলদেশ দিয়ে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরাসরি তেল শোধনাগারে সরবরাহ করা। ২০২৩ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও নানা জটিলতায় কমিশনিং হয় ২৪ সালের মার্চে। কিন্তু গত দেড় বছরেও সম্ভব হয়নি পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকাদার নিয়োগ।
চীনের অর্থায়ন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসপিএম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতদিন আমদানি করা জ্বালানি তেল বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ট্যাঙ্কে আনা হতো। এতে সময় লাগত ১১ থেকে ১২ দিন। প্রকল্পটি চালু হলে সমপরিমাণ তেল পরিবহনে সময় লাগবে মাত্র দু’দিন। দর বেশি হওয়ায় সম্প্রতি অন্তবর্তী সরকার এই প্রকল্পের অপারেটর নিয়োগের আন্তর্জাতিক দরপত্র বাতিল করে।
এদিকে ফেব্রুয়ারিতেই প্রকল্প হস্তান্তরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে বাতিল হওয়া দরপত্রের চীন ও ইন্দোনেশিয়ার দুই প্রতিষ্ঠান আবারো সংক্ষিপ্ত কারিগরি প্রস্তাব পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজারের মাতারবাড়ী দ্বীপের স্টোরেজ ট্যাঙ্ক থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে সাগরে ভাসমান বয়াটির অবস্থান। ২২০ কিলোমিটার সমান্তরালে দুটি পাইপলাইনের সঙ্গে সেটি সংযুক্ত। এর মধ্যে ১৪৬ কিলোমিটার পাইপলাইন সাগরের তলদেশে এবং ৭৪ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থলভাগে স্থাপন করা হয়েছে।























