কিশোরগঞ্জে তিন বছরেও চালু হয়নি পয়োবর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প

- আপডেট সময় : ০৩:১৩:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
কিশোরগঞ্জে পৌরসভায় তিন বছরেও চালু হয়নি আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প। অযত্নে নষ্ট হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি। প্রকল্পের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। ইতোমধ্যে ছড়িয়ে গেছে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারি ও এলাকাবাসী। নষ্ট হচ্ছে আশেপাশের ফসলি জমি ও পুকুর। স্থানীয়দের অভিযোগ, চরম ভোগান্তি পোহালেও কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ। দ্রুতই কার্যকরি উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিলেন পৌরসভার প্রশাসক।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় মূল ফটকে লেখা স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়:বর্জ্য শোধনাগার। ফটক খুলে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় বর্জ্য শোধনাগার নিজেই চাপা পরেছে ময়লা আবর্জনার নীচে।
এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে স্থাপনের তিন বছর পরও চালু না হওয়ায়, অযত্নে নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রপাতি। অত্যাধুনিক পাম্প ও ফিল্টার মেশিন দিয়ে বর্জ্য থেকে দূষিত পানি আলাদা করে বিশুদ্ধ করার সুবিধা রয়েছে। এছাড়া বর্জ্য রূপান্তরিত হওয়ার কথা ছিল জৈব সারে।
তবে থেমে নেই জায়গাটিতে বর্জ্য ফেলার কাজ। প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ ট্রাক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে মহাসড়কের পাশে।চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারি ও এলাকাবাসী।
আবর্জনার সাথে রয়েছে মেডিক্যাল বর্জ্যসহ মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর উপাদান। এসব বর্জ্য খোলা স্থানে ফেলা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, বলছেন পরিবেশ বিষেষজ্ঞরা।
আবর্জনা ফেলায় জনভোগান্তি হচ্ছে, বিষয়টি নিশ্চিত করে, পৌরসভার প্রশাসক বলেন, দ্রুতই নেওয়া হবে কার্যকরি উদ্যোগ।
২০২১ সালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কামালিয়ার চর এলাকায় এ বর্জ্য শোধনাগার প্রকল্প স্থাপনের কাজ হাতে নেয় কিশোরগঞ্জ পৌরসভা। এছাড়া প্রকল্পের জন্যে সরকার, প্রায় পাঁচ কোটি টাকায় অধিগ্রহণ করে চার একর জমি।