আজ রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস
- আপডেট সময় : ০৪:২৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ২২৯০ বার পড়া হয়েছে
রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস আজ। দিনটিকে প্রতিবছর জেনোসাইড ডে হিসেবে পালন করে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের আরাকানে সামরিক জান্তা বাহিনী ভয়াবহ নির্যাতন ও বাড়িঘর পোড়াতে শুরু করলে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১৫ লাখ রোহিঙ্গা। দেশটির অভ্যন্তরীণ সংঘাত এবং মিয়ানমার সরকারের অসহযোগিতায় আট বছর ধরে ঝুলে আছে বহুল কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। এদিকে, বিশ্ব সম্প্রদায় সাহায্য কমিয়ে দেয়ায় ক্যাম্পে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ অর্থ সংকট ও চরম অস্থিরতা।
২৫ আগস্ট, ২০১৭। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ ও বান্দরবন সীমান্ত দিয়ে ধাপে ধাপে ৮ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার ঢল অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে। যদিও এর আগে ১৯৭৮ সালে প্রথম এবং পরবর্তী সময়ে ১৯৯১-৯২ সালে কয়েক দফায় কিছু রোহিঙ্গার আগমন ঘটে টেকনাফে। সব মিলিয়ে ৩৪টি ক্যাম্পে এখন ১৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার বসবাস।
নানা আনুষ্ঠানিকতায় নেপিদো চুক্তিসহ জাতিসংঘ এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতির পরও একজন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়নি মিয়ানমার। অন্যদিকে দাতা গোষ্ঠীর সাহায্য কমে আসায় রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশ উভয়ই এখন চরম সংকটে।
এরই মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে নিজেদের মধ্যে খুনোখুনির পাশাপাশি মাদকের প্রসারসহ ক্যাম্পে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক নানা সংকট। সম্প্রতি নতুন করে দেড় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর ঢোকার অপেক্ষায় সীমান্তের ওপারে জড়ো হয়েছে আরও ৫০ হাজারের বেশি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ কক্সবাজারের বাসিন্দারা।
এদিকে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বৈদেশিক সহযোগিতার পথ খুঁজতে কক্সবাজারে বসেছে ৩ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় কিছুটা গতি ফেরার প্রত্যাশা শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের।
এদিকে ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর ২৫ আগস্টকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পে বড় জমায়েত ঘটিয়ে নিজ দেশে ফিরতে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।






















