গাইবান্ধায় সিনক্রোনাইজ পদ্ধতিতে আউশ ধান চাষে সাফল্য

- আপডেট সময় : ০৩:০৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
সিনক্রোনাইজ বা সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে গাইবান্ধায়। জেলায় এবার সাড়ে চৌদ্দ হাজার হেক্টর জমিতে এ পদ্ধতিতে চাষ হয়েছে আউশ ধান। এ পদ্ধতিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে একই সময়ে নির্দিষ্ট এলাকার সব জমিতে সবাই একসাথে ধান রোপণের ফলে সময় কম লাগছে, উৎপাদন খরচ কমছে। সেই সাথে শ্রমিক সংকটও কাটছে। এক সাথে রোপণ, সার প্রয়োগ, ফসল তোলা ও মাড়াই করতে পেরে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন এমনই বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ। ভুট্টা বা বোরো আবাদের পর, আমন ধান জমিতে বোনার আগের সময়টিতে পতিত জমিতে সিনক্রোনাইজ পদ্ধতিতে আউশ ধান চাষ করেছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, সিনক্রোনাইজ পদ্ধতিতে চাষ করলে জমিতে সেচ, সার কম লাগায় চাষে খরচ অনেক কম। এছাড়া রোগ বালাইয়ের উৎপাতও তেমন একটা হয় না।
আউশ মৌসুমের উচ্চ ফলনশীল ব্রী ধান ৪৮ ও ব্রী ধান ৯৮। হেক্টর প্রতি ৫ মেট্রিক টন আউশ ধানের উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষকদের। এছাড়া সিনক্রোনাইজ পদ্ধতিতে আউশ চাষে সরকারি প্রণোদনা পাওয়ায় খুশি তারা। বিঘা প্রতি ৫ কেজি বীজ এবং ২০ কেজি সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।
কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকদের মাঝে সিনক্রোনাইজ পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে।
চলতি বছর জেলায় আউশ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬২ হাজার ৩শ’ ৭৮ মেট্রিক টন।