পঞ্চগড়ে মরিচ শুকানোয় ব্যস্ত চাষিরা, দাম কম পাওয়ায় অসন্তোষ

- আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
- / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড়ে পাকা মরিচ তোলা ও শুকানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় চাষীরা। চলতি মৌসুমে জেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হলেও দাম কম পাওয়ায় অসন্তোষ জানিয়েছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৯ হাজার ১’শ ৪৫ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পাকা মরিচ তোলা ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষী ও কৃষি শ্রমিকেরা। গ্রামের মেঠো প্রান্তরে শুধুই ঝাঁঝালো গন্ধ। পাঁকা মরিচ শুকানোর দৃশ্য দেখে যে কারোরই মনে হবে, পল্লীগাঁয়ের সবুজ ঘাসে বিস্তৃত খোলা মাঠে যেন লাল গালিচা বিছিয়ে রেখেছে কেউ। প্রখর সোনালী রোদে শুকনো মরিচের রঙিন শোভা প্রকৃতিকেও বর্ণিল করেছে।
মরিচ তোলার ভরা মৌসুমে চাষীদের সাথে ব্যস্ত মৌসুমী কৃষি শ্রমিকেরাও। ৮ টাকা কেজি দরে তুলছেন মরিচ। পরিবারের সদস্যরা মিলে চাষীদের মরিচ তুলে বাড়তি আয় করছেন।
শুকনো মরিচ বিক্রি করতে গিয়েই আনন্দে ভাটা পড়ছে চাষীদের। উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও দাম কমেছে। চাষীরা বলছেন, বাড়তি লাভের আশায় মরিচ চাষ করে এবার সে আশায় গুড়েবালি।
এদিকে শুকনো মরিচের ভরা মৌসুমে বাজারে উঠতে শুরু করেছে মরিচ। মান ভেদে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় শুকনো মরিচ কিনছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
জেলায় এবার ৯ হাজার ১’শ ৪৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলন ও মান ভালো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাষিরা কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলে আগামীতে মরিচ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।এতে আমদানি করা পণ্যে নতুন করে মরিচের নাম যুক্ত হবার শঙ্কা দেখা দিতে পারে।