প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আবারও আশায় বুক বেঁধেছে তিস্তাপাড়ের মানুষ
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ০৩:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
 - / ২০৮০ বার পড়া হয়েছে
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে আবারও আশায় বুক বেঁধেছে তিস্তাপাড়ের মানুষ। বর্ষায় তিস্তাগর্ভে প্রতিবছর বিলীন হচ্ছে হাজার হাজার একর ফসলী জমি, বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা। তীব্র স্রোতে ভেঙ্গেছে নদীরক্ষা বাঁধ। তিস্তার বিধ্বংসী এমন আচরণে দিশেহারা নীলফামারীর নদী-অববাহিকার মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি তাদের। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তিস্তা খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিস্তা নদীর কোল ঘেষেই নীলফামারীর জলঢাকার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের হলদীবাড়ি গ্রাম। কয়েক দিনে পানির উচ্চতা বেড়ে তিস্তার তীব্র ভাঙ্গনে গ্রামটির ২০টি বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে। প্রতিদিন ভাঙণ আতংকে আরো অনেক পরিবার। ওদিকে, তিস্তার তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদীরক্ষা ডান তীর বাঁধের ৪ কিলোমিটার অংশ ও পাঁচটি স্পার।
শুষ্ক মৌসুমে পানির নিচুস্তরের জন্য তিস্তার তলদেশ ভরাট হয়ে নাব্য বেড়ে যায়। অল্প পানির বন্যাতেই সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। তিস্তা অববাহিকায় ফসলি জমি আর বাস্তুভিটা হারিয়েছেন ১০ হাজার পরিবার। যাতে ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তিস্তার গতিপথ ঠিক রাখতে খনন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
সট: মো. আসাফউদদৌলা, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়া, নীলফামারী
সট: মো. মাহাবুবর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী, উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ড, রংপুর
চলতি বছরের ২১ জুন থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত উজানের ঢলে নীলফামারীতে ৮ বার বিপদসীমা অতিক্রম করে তিস্তার পানি। পানি কমে শুরু হয়েছে ভাঙ্গণ।
																			
																		













