চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগে অডিট কমিটি পেলেন বেশ কয়েকটি অসঙ্গতি
- আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৯৯৫ বার পড়া হয়েছে
মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীরা একটি বাণিজ্যিক হোল্ডিংয়ের ভ্যালু নির্ধারণ করেন ২৬ কোটি টাকা। অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তারা দুই মুছে দিয়ে ছয় কোটি টাকা করেন। ফাইলটি আপিলে নিয়ে, নিষ্পত্তি হয় মাত্র দুই কোটি টাকায়। আরেকটি ৬ তলা আবাসিক ভবনে ভুয়া ব্যাংক ঋণ দেখিয়ে, নামমাত্র ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা দু’টি ঘটেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগে। অডিট কমিটি এমন বেশ কয়েকটি হোল্ডিংয়ে অসঙ্গতি পেয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি তদন্ত প্রয়োজন বলে, জানানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া এতো বড় অনিয়ম করা সম্ভব নয়।
দেশের বেসরকারী কন্টেইনার ডিপোগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ইসহাক ব্রাদার্স। ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের সব হোল্ডিং পুন; মুল্যায়ন করার সময়, এই ডিপোর ভ্যালু নির্ধারন করা হয় ২৬ কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবায়নে গিয়ে হোল্ডিংটির ভ্যালু দেখানো হয়েছে মাত্র দুই কোটি টাকা। ফুটেজ-১ ও জিএফএক্স-১
বন্দর নগরীর সরাইপাড়া এলাকার ৭তলা এই ভবনটির ভাড়া থেকে মালিকের আয় দেখানো হয়েছে মাসে মাত্র ৩০ হাজা টাকা। এছাড়াও এক
কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ দেখিয়ে মুল ভ্যালু থেকে বছরে ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যাংক ইন্টারেস্ট বাদ দেয়ার সুপারিশ করে চসিকের রাজস্ব বিভাগ। ফুটেজ-২ ও জিএফএক্স-২ ও ৩
অডিট কমিটির অনুসন্ধানে ইসহাক ডিপোর ভলিয়ম জালিয়াতির সঙ্গে চসিকের রাজস্ব সার্কেল-৮ এর তৎকালিন টিও নুরুল আলম ও ডিটিও জয় সেন আর সরাইপাড়ার ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে ৬ নম্বর সার্কেলের টিও রাজেশ চৌধুরী ও সাবেক ডিটিও কামরুল হাসান জড়িত। কিন্তু ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি কেউ। ফুটেজ-৩ ও জিএফএক্স-৪,৫,৬,৭ ফুটেজের এক পাশে ছবিগুলো জিএফএক্স হবে
পতেঙ্গা এলাকার আরো একটি কন্টেইনার ডিপো, হাইডেল বার্গ সিমেন্টসহ বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ও আবাসিক হোল্ডিংয়ের রাজস্ব নির্ধারনে অনিয়ম পেয়েছে অডিট অধিদফতর। জিএফএক্স-৮ ও ৯ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা।ফুটেজ-৪
বিশ্লেষকরা বলছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান আয়ের উৎস রাজস্ব শাখায় সবচেয়ে বড় দুর্নীতি ও অনিয়ম রয়েছে।মাঝে মধ্যে দুই একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও মুলত তা আই-ওয়াশ। ফুটেজ-৩ ও সেটাফ
আয়ের উৎস না থাকার অজুহাতে মাঝে মধ্যেই গৃহ কর বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় চসিক। যা নিয়ে হর হামেশায় আন্দোলনে নামে নাগরিকদের। রাজস্ব বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারলে, এই সংকট দুর হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।ফুটেজ-৪






















