এক সময়ের দুগ্ধপল্লী এখন ভেজাল দুধের এলাকা
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৬০৮ বার পড়া হয়েছে
এক সময়ের দুগ্ধপল্লী হিসেবে খ্যাত সাতক্ষীরা তালার জেয়ালানলতা এখন পরিচিত ভেজাল দুধের এলাকা হিসেবে। ভেজাল দুধের কারবার করে অনেকেই বনে গেছেন কোটিপতি। মহান্দী, জেয়ালানলতা, হাজরাকাঠিসহ আশপাশের এলাকার শতাধিক খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা জড়িত ভেজাল দুধের কারবারে। গুণ-মানহীন কৃত্রিম দুধ প্রক্রিয়াজাত করে সরবরাহ করা হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। ভেজাল দুধ বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত দুগ্ধ খামার সমিতির সভাপতি প্রশান্ত কুমার ঘোষ ও গৌর শংকর ঘোষসহ কয়েকজনকে সাজাও দিয়েছে। ভেজাল দুধের উৎস ঠেকাতে প্রশাসনিক তৎপরতা আরো বাড়ানোর তাগিদ স্থানীয়দের।
দুধের জেলা সাতক্ষীরায় একসময় খ্যাতিমান ছিল তালার জেয়ালার ঘোষপাড়া গ্রাম। ইদানীং এখানকার দুধ ব্যবসায়ীরা অল্পদিনেই কোটিপতি বনে যাওয়ায় দুগ্ধপল্লীটি হারিয়েছে তার অতীত সুনাম। কারণ ব্লেণ্ডারে বেকারীর জেলি, গ্লুকোজ, পামওয়েল, চিনি, স্যালাইন, সোডাসহ বিভিন্ন অপদ্রব্য পেস্ট করে আর কিছু ভালো দুধের সাথে প্রচুর পানি মিশিয়ে বানানো হচ্ছে কৃত্রিম দুধ। এভাবে ১শ’ লিটার দুধকে পরিণত করা হয় ৩/৪শ’ লিটারে।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভেজাল দুধসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেল-জরিমানার পরও দুগ্ধ খামার সমিতির নেতা ও অসাধু সদস্যরা ছাড়া পেয়ে আবারো একই কাজ করছেন। এদের রুখতে প্রশাসনিক তৎপরতা ও শাস্তি বাড়ানোর দাবি স্থানীয়দের।
ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করার কথা জানান জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তারা।
ভেজাল দুধের উৎস ঠেকাতে জেলা-উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের তৎপরতা আরো বাড়ানোর তাগিদ সাবেক সভাপতির।
ভেজাল দুধের অপতৎপরতা রুখতে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আরো অভিযান পরিচালনার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সাতক্ষীরা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দুধ উৎপাদনকারী জেলা। প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয় এ জেলায়। আর বার্ষিক উৎপাদন ২ লাখ টনেরও বেশি।

 
																			 
																		



















