বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

- আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
- / ১৬২২ বার পড়া হয়েছে
সব প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর যাত্রা শুরু হলো। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১২টায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী, নিজস্ব অর্থায়নে তৈরী, দেশের সবচেয়ে বড় এ অবকাঠামোর উদ্বোধন হলো এর আগে মাওয়া প্রান্তের সুধী সমাবেশের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সেতুর নির্মাণে পথে শুধু পদ্মার উত্তাল ঢেউ নয়, বাঁধা হয়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা। ষড়যন্ত্রের সব জাল ছিন্ন করে আজ বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে পদ্মা সেতু, যা বাংলাদেশের মানুষের সক্ষমতার প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তা ও আদর্শ অনুসরণ করেই নির্মিত পদ্মা সেতু ইট পাথরের অবকাঠামো নয়, বাংলাদেশর অহংকার ও আত্মমর্যাদার চিহ্ন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
ঘড়ির কাটায় দুপুর ১২টা । বহু অপেক্ষার পর উৎসবের মাহেন্দ্রক্ষণ। সুইচ চেপে বহুল প্রতিক্ষীতি পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সঙ্গীতের মূর্ছনার মধ্যে দিয়ে স্বপ্ন ছোঁয় দেশ। ৭১ এর পর আবারও একবার বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে লাল সবুজের বাংলাদেশ।
এর আগে মাওয়া পয়েন্টের সুধী সমাবেশে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের শুরুতেই ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্য এবং সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িত প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
সেতু নির্মাণের পথে সরকারকে অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জাতির পিতার দৃঢ়তার পথ দেখিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাংলাদেশের জনগণই হচ্ছে সাহসের ঠিকানা, এমন মন্তব্যও করেন শেখ হাসিনা।
শুধু দক্ষিণের ২১ জেলা নয় আঞ্চলিক যোগাযোগেও এই সেতু গুরুত্বপূ ভূমিকা রাখবে।
একসময় আবেগতাড়িত কণ্ঠে দেশকে নিয়ে নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
ষড়যন্ত্রকারিদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে স্মারক ডাক টিকেট, স্মারক নোট উদ্বোধন এবং পদ্মার সেতুর রেপ্লিকা তুলে দেয় নির্মাণকারি প্রতিষ্ঠান মেজর ব্রীজ কোম্পানি।