উত্তরবঙ্গের মিলারসহ বহুজাতিক কোম্পানির সিণ্ডিকেটে অস্থির চালের বাজার

- আপডেট সময় : ০৪:৩১:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
- / ১৫৭৭ বার পড়া হয়েছে
চাল নিয়ে চালবাজি কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চালে দাম ৭ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার এমনকি খাদ্য অধিদফতরের উদ্যোগও বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উত্তরবঙ্গের মিলার আর কতিপয় বহুজাতিক কোম্পানি সিণ্ডিকেট করে অস্থির করেছে চালের বাজার। খাদ্য কর্মকর্তারা বলছেন, গুদামে পর্যাপ্ত চাল মজুদ আছে। দর নিয়ন্ত্রণে চাল ও গম বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তিন মাসের বেশি সময় ধরে অস্থির দেশে চালের বাজারে। ইরি-বোরো উঠলেও দাম কমার কথা থাকলেও, বাজারের চিত্র উল্টো। ভরা মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছে। কি আতপ, কি সিদ্ধ– সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৭ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মিনিকেট, জিরাশাইল, বেতি, স্বর্ণাসহ নিন্মমধ্যবিত্তের চাহিদাসম্পন্ন চালের দাম।
উত্তরবঙ্গের মিলার আর প্যাকেটে বাজারজাত করা কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানী, সিণ্ডিকেট করে বাজার অস্থির করছে বলে জানান সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
তবে চাল ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ফুড গ্রীণ লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতার পাশাপাশি সিন্ডিকেটের কবল থেকে বাজার উন্মুক্ত করতে হলে, আমদানির ওপর কড়াকড়ি তুলে নিতে হবে।
আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তার দাবি, প্রতি বছর জুনে গুদামে ধান, চাল, গম মিলিয়ে মজুদ থাকে ১০ লাখ টনের নিচে; এবার আছে ১৩ লাখ টনের বেশি। এ খাদ্য বাজারে এলে দামে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে ।
অস্থির চালের বাজারে স্বস্তি ফেরাতে ক’দিন ধরে চলছে অভিযান। কিন্তু তাতে সুফল আসছে না।