সীমানা নির্ধারণের অজুহাতে আটকে আছে ঢাকার খালগুলোর উদ্ধার প্রক্রিয়া

- আপডেট সময় : ০২:০৯:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই ২০২১
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
সীমানা নির্ধারণের অজুহাতে আটকে আছে ঢাকার খালগুলোর উদ্ধার প্রক্রিয়া। দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন প্রায় সব খালই ভরাট করে দখল করেছে প্রভাবশালীরা। সামান্য বৃষ্টিতেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ অলি-গলি ডুবে যায়। জলাবদ্ধতা নিরসনে এক যুগে প্রায় ৩ হাজার দুইশ’ কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও সুফল পাননি নগরবাসী। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন- অব্যবস্থাপনা এবং প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে খাল উন্নয়নে ভাটা পড়েছে।
রাজধানীর চারপাশের নদ-নদীর সঙ্গে খাল ও নর্দমার পানি নিষ্কাশন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর অধিকাংশ খাল প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। যে কারণে পাম্পিংনির্ভর হয়ে পড়েছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা।
তথ্য অনুযায়ি দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন অর্ধশতাধিক খাল রয়েছে। তাও আবার দুখল ও দুষনের কবলে পড়ে আছে। সরজমিনে দেখা গেছে, ঢাকার মান্ডা খালসহ প্রায় সবগুলো খাল দখলবাজরা বহুতল ভবনসহ গড়ে তুলেছে বিভিন্ন স্থাপনা।
ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই ঢাকার প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি এবং বাড়ি-ঘরও ডুবে যায়। সীমাহীন এই দুর্ভোগ থেকে মহানগরবাসী কবে মুক্তি পাবে তার কোন সদুত্তর নেই কারো কাছে।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রাজউক এবং জেলা প্রশাসক ঢাকার খাল, নর্দমা, ড্রেন সংস্কার, উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানীর ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে এক যুগে প্রায় ৩ হাজার ২শ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছর থেকে ২০২০-২০২১ অর্থবছর পর্যন্ত ঢাকা ওয়াসা ঢাকার খাল, ড্রেন পরিষ্কার ও সংস্কারে খরচ হয়েছে প্রায় ৯০৬ কোটি টাকা। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যৌথভাবে খরচ করেছে ১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড খরচ করেছে প্রায় ১০৮ কোটি টাকা।
জানতে চাওয়া হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এবং জলপরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইনামুল হক বলেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতার কারণ হচ্ছে, পানি নিষ্কাশনের প্রাকৃতিক মাধ্যম বন্ধ করে কৃত্রিম প্রচেষ্টা চালানো।
নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খানেএসএ টিভিকে বলেন, শহরের খাল, ডোবানালাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক জলাধারগুলো রক্ষা ও উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এজন্য টেকসই সমাধানের পথে হাঁটতে হবে সরকারকে।
বৃষ্টির পানির নিস্কাশনের প্রাকৃতিক ধারগুলো উদ্ধার করলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এমন মত প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা।