গেলো বছরের বকেয়া পরিশোধ না করলে চমড়া সংগ্রহ ব্যহত হবার আশঙ্কা

- আপডেট সময় : ০২:২২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১
- / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার ট্যানারী মালিকরা এখনো চামড়া কেনার চাহিদাপত্র পাঠাইনি চট্টগ্রামের কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে। এছাড়া গেল বছরের বকেয়া টাকাও শোধ করেনি অধিকাংশ ট্যানারী। এই অবস্থায় কোরবানীর চামড়া কেনা নিয়েই সংশয়ে আছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি আজকের মধ্যে বকেয়া টাকা আর চামড়া কেনার নিশ্চয়তা না পেলে গেলবারের মতো এবারো নষ্ট হবে অনেক চামড়া।
রাত পোহালেই কোরবানীর ঈদ। পশু সম্পদ বিভাগের হিসেবে এবার চট্টগ্রাম জেলা ও আশপাশের এলাকায় ৪ লক্ষাধিক পশু কোরবানী হবে। বিপুল পরিমান এই পশুর চামড়া লবন দেয়ার কাজও শুরু হবে আগামীকাল দুপুর থেকে। প্রচলিত ধারা অনুযায়ী মৌসুমী ও ফরিয়াদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ করে লবন দেয়ার কাজটি করবেন আড়ৎদাররা। কিন্তু সেই আড়ৎদাররাই চামড়া কেনা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তায়। কারণ ঢাকার ট্যানারী মালিকরা চামড়া কেনার চাহিদাপত্র এমনকি বকেয়া টাকাও পাঠাননি এখনো।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকার হাজারীবাগ থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানান্তরের সময়ই অনেক ট্যানারী বন্ধ হয়ে গেছে। মুলত তার পর থেকেই মন্দা নেমেছে এক সময়ের লাভ জনক এই ব্যবসা। বাজারে প্রতিযোগী না থাকায় ট্যানারী মালিকরাও জিম্মি করে ফেলেছে আড়ৎদার ও কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এই শিল্পটির ওপর সরকারের যতটা যত্নবান হওয়া উচিৎ ছিলো তা না নেয়া হয়নি। এই সুযোগে পুরো সেক্টর অস্থির করে তুলেছে একটি সিন্ডিকেট।
কয়েক বছর আগেও ঢাকার বাইরে ১৯ টি ট্যানারী ছিলো চট্টগ্রামে। কিন্তু পরিবেশ অধিদফতরের কড়াকড়ির আর ব্যবসায় মন্দার কারেন বন্ধ হয়ে গেছে ১৮ টি ট্যানারী। যে একটি টিকে আছে সেটির সক্ষমতা সর্বোচ্চ ১ লাখ পিচ চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার। তাই চট্টগ্রামের অন্তত ৩ লাখ পিচ চামড়া গন্তব্য ঢাকা।