স্থায়ী পশুর হাট না বসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে চুয়াডাঙ্গার খামারীরা

- আপডেট সময় : ০৬:০২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
কঠোর বিধিনিষেধে স্থায়ী পশুর হাট না বসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে চুয়াডাঙ্গার খামারীরা। গত বছরও লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। এদিকে, ঈদ ঘনিয়ে এলেও ঝিনাইদহে বিভিন্ন খামারে দেখা মিলছে না ব্যাপারীদের। অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলোও কোনো অর্ডার দেয়নি। ফলে এবার লাভ তো দূরের কথা, পুঁজি ওঠানো নিয়েই এখন শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।
এ বছর চুয়াডাঙ্গায় কোরবানি উপযোগী গরু আছে প্রায় ৩০ হাজার ও ছাগল রয়েছে ৮৩ হাজার। ঈদকে সামনে রেখে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে খামারিরা। গত বছর করোনার কারণে পুঁজি হারিয়েছে অনেকই। এবারও লকডাউনে গরুর হাট বন্ধ ও বাইরের ব্যাপারী না আসায় পশু নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তারা।
লকডাউনের কারনে পশু কেনা-বেচা নিয়ে খামারির সাথে প্রাণী বিভাগও চিন্তিত।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খামারি পারভেজ মাসুদ লিল্টন প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩৫টি গরু লালন-পালন করেন। কিন্তু, পশুর হাট বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেনি কোনো গরু।
তার মতো জেলার ছোট-বড় ১৯ হাজার খামারি গরু নিয়ে বিপাকে রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
অনলাইনে পশু বিক্রির পাশাপাশি ঈদের আগেই হাট খুলবে বলে আশা করে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
জেলায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে এক লাখ ২০ হাজার। লালন-পালন করা হয়েছে এক লাখ সাড়ে ৩১ হাজারেরও বেশি।