রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা নিয়ে প্রস্তুত দুই শিবির

- আপডেট সময় : ০৭:২২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা নিয়ে মঞ্চ প্রস্তুত, প্রস্তুত দুই শিবির। অপেক্ষা শুধু মাঠে লড়াইয়ের। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার চিরবৈরিতার আরও এক সোনালী অধ্যায়ের সাক্ষী হতে তৈরি মারাকানা। ঘরের মাঠে আঞ্চলিক মর্যদা রক্ষার চ্যালেঞ্জ ব্রাজিলের। বিপরীতে আর ২৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচানোর হাতছানি আর্জেন্টিনার। সঙ্গে আকাশী নীল জার্সিতে আরও একবার ট্রফি জয়ের সুযোগ লিওনেল মেসির। ঐতিহাসিক মারাকানায় সকাল ৬ টায় শুরু হবে ম্যাচ।
ইতিহাসের সাক্ষী হবার অপেক্ষায় প্রস্তুত ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়াম। অপেক্ষা শুধু মহারণ মঞ্চায়নের।যে মঞ্চের ইতিহাস ডাকছে আর্জেন্টিনাকে। কেন না শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার তো বটেই, ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর হাতছানি আলবিসেলেস্তদের সামনে। আকাশী নীল জার্সিতে একটা ট্রফি ছুঁয়ে দেখার হাহাকার দূর করার আরও একটা সুযোগ লিওনেল মেসির। চার বিশ্বকাপ আর আগের ৫ কোপা আমেরিকায় যা পারেননি এলএমটেন।
ব্রাজিলের চ্যালেঞ্চটা মর্যাদা রক্ষার। ব্যাট টু ব্যাক শিরোপা জিতে সংখ্যাটা দশে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সেলেসাওদের। পরিসংখ্যানও স্বাগতিকদের পক্ষে। ঘরের মাঠে আঞ্চলিক আসরের পাঁচ ফাইনাল খেলে প্রতিবারই শিরোপা উৎসব করেছে ব্রাজিল।
সম্প্রতি দুরন্ত ফর্মও আভাস দিচ্ছে জমাট লড়াইয়ের। ব্রাজিলের মতো টুর্নামেন্ট জুড়ে অপ্রতিরোধ্য আর্জেন্টিনাও। ৬ ম্যাচে সমান ৫ জয় আর এক ড্র দুই দলের। ফাইনালের আগেও কৌশলী দুই কোচ। যাদের আস্থা আর ভরসার বড় অংশ জুড়ে মেসি- নেইমার।
নেইমার সেরাদের একজন তাতে সন্দেহ নেই। আপনি যদি আমাকে জানান, নেইমারকে সামলাতে আর্জেন্টিনার পরিকল্পনা কি? তাহলে মেসিকে আটকানোর কৌশল আমি আপনাকে বলবো।
মেসির শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাতে শিরোপা দরকার নেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের বিপক্ষে ম্যাচ। চূড়ান্ত লক্ষ্য পূরণে সর্বোচ্চ দিতে সবাই প্রস্তুত। ফলাফল যাই হোক। মেসি ইতিহাসের সেরা ফুটবলারই থাকবে।’
শতবর্ষের বেশি পুরনো এই বৈরিতায় এগিয়ে ব্রাজিল। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানেও নেইমারদের আধিপত্য। ১৯৯৮ সালের পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টে শেষ ৫ দেখায় একবারও জিততে পারেনি আকাশী নীলরা। যদিও ১৯৯৩ সালে আর্জেন্টিনার শেষ শিরোপার মঞ্চ ছিলো এই মারাকানা।
মারাকানায় আরও একবার সফল হলে উরুগুয়ের সমান সর্বোচ্চ ১৫ কোপা জয়ের কৃতিত্বে ভাগ বসাবে আর্জেন্টিনা। ইনজুরিমুক্ত স্কোয়াড স্বস্তি দিচ্ছে লিনেল স্কালোনিকে। নক আউটের দুর্দান্ত ফর্ম, ফাইনালের একাদশে সার্জিও আগুয়েরো থেকে এগিয়ে রাখছেন লাউতারো মার্টিনেজকে।
শিরোপা লড়াইয়ের আগে ব্রাজিলের অপ্রাপ্তি বলতে শুধু গ্যাব্রিয়েল জেসুস। লাল কার্ড দেখে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ায় তাকে ছাড়াই মাঠে নামতে হচ্ছে সেলেসাওদের। গোলবারের নিচে আরও এক ম্যাচে দেখা যেতে পারে এডারসনকে।
করোনায় স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশ সীমিত। কনমেবলের আমন্ত্রণে মাত্র ৬ হাজার ৫’শ ভক্ত উপভোগ করবেন সুপার ক্লাসিকো।