কর্মকর্তাদের দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় নিরুত্তর জালালাবাদ গ্যাস
- আপডেট সময় : ০১:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে মৌখিক নির্দেশে সিলেটে বন্ধ করে দেয়া হয় সব শ্রেণীর গ্যাস সংযোগ। এর আগে ও পরে সংযোগের জন্য ১০ হাজারেরও বেশি গ্রাহক টাকা জমা দেন। গ্রাহকরা ১০ হাজার থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত টাকা জমা দিয়েও পায়নি কাংখিত গ্যাস সংযোগ। কর্মকর্তাদের দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় নিরুত্তর জালালাবাদ গ্যাস। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেও সমস্যার সমাধান মিলছে না ।
দেশে উত্তোলিত গ্যাসের মোট ৮০ শতাংশের বেশি গ্যাস জাতীয় গ্রিড লাইনে যোগ হয় সিলেট থেকে। জাতীয় গ্রিডে ২৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মধ্যে শুধুমাত্র সিলেট থেকেই উত্তোলন করা হয় প্রায় ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এছাড়াও সিলেটের জন্য জাতীয়ভাবে বরাদ্দকৃত ৪৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মধ্যে ৩৬২.৮৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার করেন সিলেটের সব ধরনের গ্রাহকরা।
তবে আবেদনের প্রেক্ষিতে সংযোগ পাওয়ার সকল কাজ সম্পন্ন করে জায়গা পর্যন্ত লাইন টানার পরও গ্যাস কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে রাইজার লাগিয়ে না দেয়ার অভিযোগও আছে গ্রাহকদের।
গ্রাহকদের সংযোগ না পাওয়ার এমন হাজারো অভিযোগের পাশাপাশি জালালাবাদ গ্যাস কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ পাওয়ার উদাহরণও কম নয়।
গ্যাসের মেইন লাইন থেকে বাসা বাড়িতে টেনে আনা এসব অরক্ষিত লাইনের গ্যাস থেকে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। বারবার জানিয়েও সুরাহা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
জালালাবাদ গ্যাসের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের তদন্ত করে গ্রাহকদের দুর্ভোগ বন্ধে সংস্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সিলেটবাসী।