ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশ ও উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সংঘর্ষের পর এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা
- আপডেট সময় : ০৫:১৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
লকডাউন মানাতে গিয়ে ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশ ও উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সংঘর্ষের পর এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত টানা ৫ ঘন্টা সংঘর্ষে বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা পরিষদ ভবন, ইউএনও ও এসিল্যান্ডের দুটি জীপ এবং ৭টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনেও হামলা এবং ভাংচুর চালায়।
সোমবার বিকেলে সালথা উপজেলার এসিল্যান্ড হীরামনি ফুকরা বাজারে গিয়ে দোকান পাট বন্ধ করার কথা জানালে ব্যবসায়ীরা বিক্ষুব্ধ হন। এ সময় এসিল্যান্ডের এক কর্মচারী জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে এসিল্যান্ডের সাথে বাদানুবাদ শুরু হয়। খবর পেয়ে সালথা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে জনতা আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সন্ধ্যার দিকে কয়েক হাজার মানুষ শ্লোগান দিয়ে থানা ঘেরাও করে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় । এসময় পুলিশের গুলিতে ২ জন নিহত হবার খবর ছড়িয়ে দিলে বিক্ষুব্ধরা উপজেলা পরিষদে ইউএনও, এসিল্যান্ড, উপজেলা চেয়ারম্যান, কৃষি দপ্তর, এলজিইডি, প্রানী সম্পদ ও খাদ্য বিভাগের কক্ষ ভাংচুর করে অফিসে লুটপাট চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আশপোশের জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ, রেব সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ৫ ঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষে রেব-পুলিশের ৭ সদস্যসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। উপজেলা জুড়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহলে। পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।