আজ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস
- আপডেট সময় : ০২:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
আজ বেদনাভরা ২৫ ফেব্রুয়ারি। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করে বিডিআরের বিদ্রোহী জওয়ানরা। ওই ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় এলেও এখনো শেষ হয়নি বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলাটি। ফলে ৫শর বেশী আসামী খালাস পেয়েও আছেন কারাগারে। গেল ১০ বছর ধরে মামলাটির ধীর গতির বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং বিচারহীনতার বড় দৃষ্টান্ত বলে মনে করে আসামীপক্ষ। অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাটর্নি জেনারেল বললেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। গোলাগুলির শব্দে কেঁপে উঠে পিলখানার বিডিআর সদর দপ্তর ও এর আশেপাশের এলাকা।ন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে বিডিআর এর বিদ্রোহী জওয়ানরা।পৈশাচিক ওই হত্যাকাণ্ডের পর সাড়ে আটশ’ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় মোট তিনটি মামলা। হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের দুটি মামলা একসাথে নিষ্পত্তির জন্য গেজেট প্রকাশ করা হয়। আর বিদ্রোহের বিচার হয় বিজিবি’র নিজস্ব আইনে।
২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি। রাজধানীর বকশিবাজারে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ এজলাসে একই সঙ্গে শুরু হয় আলোচিত এই দু’টি মামলার বিচারকাজ। হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের পর রায় দেয় হাইকোর্টও। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ড পাওয়া ১শ’ ৫২ আসামীর মধ্যে ১শ’ ৩৯ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর রায় দেয় উচ্চ আদালত। এছাড়া একশ ৮৫ জনকে যাবজ্জীবন, ২শ’ ২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও ২ শ’ ৮৭ জনকে খালাস দেয়া হয়। বর্তমানে আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে মামলাটি। শুনানির জন্য দিন ঠিক করা জন্য আপিল করা হবে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
তবে হত্যা মামলা দ্রুত গতিতে চললেও কচ্ছপ গতিতে চলছে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের দায়ের করা মামলাটি। একহাজার ৩শ ৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য হয়েছে মাত্র ১শ’ ৮০ জনের। আর মামলাটি চলমান থাকায় খালাস পেয়েও কারাগারে আছেন সাড়ে ৫শর বেশী তৎকালীন বিডিআরের সদস্য। মামলার এই ধীর গতির জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাড় করায় আসামীপক্ষ। যদিও তা অস্বীকার করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সুপ্রিমকোর্টের জেষ্ঠ্য আইনজীবীরাও মনে করেন দ্রুত এই মামলা দুটির নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।২০০৯ সালে নতুন একটি সরকার দায়িত্ব নেয়ার মাত্র এক মাসের মাথায় আধাসামরিক বাহিনীতে বিদ্রোহের সেই ঘটনা পুরো বিশ্বে আলোড়ন তোলে। ফৌজদারি বিচারের ইতিহাসে এক মামলায় এতো আসামির সর্বোচ্চ সাজার আদেশও নজিরবিহীন।