বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
- আপডেট সময় : ০৭:৫৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন হবে। তবে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আগের মতোই আছে বলেও জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। দুপুরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎশেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের এসব বলেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরনার্থী রয়েছে। তাদের ভাসানচরসহ কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৫টি শিবিরে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এদের ফেরত নিতে মিয়ানমার বাংলাদেশের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার তিন বছরেও শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন। সবশেষ গত ১৯ জানুয়ারি চীনকে সাথে নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ। ওই বৈঠকের পর, এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর কথা থাকলেও সেনা অভ্যূত্থানে এখন আরো নীরব মিয়ানমার।
এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারকে নিয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরলেও বাংলাদেশের দৃষ্টি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে। তাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের কাছে তার সরকারের মতামত তুলে ধরেন।(রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশের পাশে আছে। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের বহন করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সবাই মিলে একযোগে কাজ করবো। তবে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে যেন প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হয়)
এসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বেশকিছু নাগরিক সেবার বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায়।মন্ত্রী আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রকল্পটি কোন অর্থ-সহায়তার প্রকল্প নয়, এটা একটা দর্শন বা মডেল নিয়ে কাজ করবে।