চসিক নির্বাচনে সব ক’টি ভোটকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ, আর ১৪টি ওয়ার্ড ঝুঁকিপুর্ণ
- আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫৮১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে, সহিংসতার মাত্রা ততোই বাড়ছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থকরাও প্রতিনিয়ত জড়াচ্ছে সংঘর্ষে। এই বাস্তবতায় সব ক’টি ভোটকেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ, আর ১৪টি ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপুর্ণ হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন। আর পুলিশ বলছে, ভোটকেন্দ্রগুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তারা, শেষ সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তার রূপরেখা ঠিক করবেন তারা। ওদিকে, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগেই প্রশাসনের কার্যক্রম দৃশ্যমান না হলে কমতে পারে ভোটার উপস্থিতি।
বুধবার রাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে ফেরার পথে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজিরদেউড়ি এলাকায় বিএনপি অফিসের সামনে মুখোমুখি হয় প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী- আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ। বিএনপি প্রার্থীর গাড়িসহ ওই এলাকায় থাকা দু’পক্ষেরই নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকরা।
এর আগে পাঠানটুলি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পোষ্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদেরের সমর্থকরা। এতে একজনের মৃত্যু হয়। এর বাইরে চকবাজার ও পাহাড়তলীতে সংঘর্ষে আরো দু’জনের প্রাণহানী হয়েছে। এছাড়া বাকুলিয়া, বলিরহাট, নয়াবাজার, লালখান বাজারসহ একাধিক এলাকায় নির্বাচনী সংঘর্ষে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
এমন বাস্তবতায় এ পর্যন্ত ১৪টি ওয়ার্ডকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখলেও সব ক’টি ওয়ার্ডের নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। জিভি-ইসি
আর পুলিশ বলছে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসানোসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার অভিযান জোরদারের পাশাপাশি আরো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা। ভোটকেন্দ্রগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে নির্বাচনের আগ মুহুর্তে।
আর নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই নানা কারণে ভোটের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ কমেছে। এর ওপর একাধিক নির্বাচনী সহিংসতায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভোটারদের মাঝে। তাই নির্বাচনের আগেই নিরাপত্তার বিষয়টি জনগণের মাঝে দৃশ্যমান না হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ভোটার উপস্থিতিতে।
২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে অন্তত ৩০টি অভিযোগ জমা হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। যার অধিকাংশ অভিযোগই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন আর সন্ত্রাসজনিত।























