বদলে যাচ্ছে বরিশাল অঞ্চলের নৌ-যান সার্ভিস

- আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
পদ্মা সেতুর কারণে বদলে যাচ্ছে বরিশাল অঞ্চলের নৌ-যান সার্ভিস। বরিশালের লঞ্চ কোম্পানিগুলোর মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা। যাত্রী ধরে রাখার এই প্রতিযোগিতায় পাল্লা দিয়ে তৈরি হচ্ছে আধুনিক লঞ্চ-স্টিমার। এ লঞ্চগুলো নির্মিত হচ্ছে বরিশালের ডকইয়ার্ডেই। তবে, এতোকিছুর মধ্যেও সেবার মানে আধুনিকতা আনার অঙ্গীকার থাকা উচিত মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কীর্তনখোলা নদীর তীরে দেশীয় প্রযুক্তিতে চলছে সুন্দরবন-১৮ লঞ্চের নির্মান কাজ। তিন’শ ফুট লম্বা এবং ৫২ ফুট চওড়া লঞ্চটিতে বিভিন্ন ধরনের কেবিন ছাড়াও যাত্রী সেবায় অনেক কিছুই সংযোজন করা হবে। আগামী বছর ঈদে লঞ্চটি যাত্রীবহনে যুক্ত হবে।
সুরভী-সাত লঞ্চেও নতুন ডেকোরেশনে লিফট লাগানো হয়েছে। কেবিন থেকে শুরু করে সব কিছুতেই আনা হচ্ছে আধুনিকতা। চলন্ত সিঁড়ি, এটিএম বুথ, হেলিপ্যাড, সুইমিং পুলসহ অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে লঞ্চগুলোতে।নির্মীয়মান লঞ্চগুলোতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হচ্ছে বলে জানান, লঞ্চ মালিকরা।
শুধু আধুনিকতার প্রতিযোগিতা না করে, সেবার মান বাড়ানোর পরামর্শ দেয়, ‘যাত্রী স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদ’।সারাবছর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌপথ সচল রাখার প্রতি জোর দেন লঞ্চ মালিক সমিতির এই নেতা।
বরিশালের চারটি ডকইয়ার্ডে নির্মিত সুন্দরবন কোম্পানির আট, সুরভীর চার, কীর্তনখোলা ও অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানির দুটি করে অত্যাধুনিক বিলাসবহুল লঞ্চ যাত্রীবহরে রয়েছে। এগুলোতে রয়েছে লিফট, আইসিইউ, ডাইনিং, শিশুদের খেলার জোন, রেস্টুরেন্ট, ব্রেস্টফিডিং রুম এবং ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। লঞ্চ চালনায়ও আনা হয়েছে ডিজিটাল যন্ত্র।