জনবল সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতায় মাদক নিয়ন্ত্রণ চ্যালেঞ্জের মুখে

- আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৮১৫ বার পড়া হয়েছে
সশস্ত্র জনবল সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহম্মদ আহসানুল জব্বার। তিনি জানান, সরকার ও অধিদপ্তরের যথেষ্ট সদিচ্ছা আর আন্তরিকতা থাকার পরও অস্ত্রধারী মাদক কারবারীদের ধরা কঠিন হয়ে পড়ে । আর আইন প্রয়োগে অধিদপ্তরের সরাসরি ক্ষমতা না থাকায় মাদক নিয়ন্ত্রনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় না । করোনা সংকটে এবছরেও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান এবং মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
“মাদককে না বলুন, মাদক থেকে দূরে থাকুন”- সরকারের এ নীতি বাস্তবায়ন করতে সারাদেশে বছরজুড়ে মাদক চোরাকারবারীসহ সব ধরনের মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সব অভিযানে, বিপুল পরিমান ইয়াবা, গাজা, হেরোইন,মদসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে সংস্থাটি।
২০২০ সালের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে- পুরো বছরে অভিযান পরিচালিত হয়েছে ৫৯ হাজারটি। এর মধ্যে ইয়াবা জব্দ করাহয়েছে ১৭ লাখ, হেরোইন-৮ কেজি, কোকেন- ৮ কেজি, অফিম-৩ কেজি , গাজা-২,৩১২ কেজি, ফিন্সিডিল-২৬,৯৬৭ বতল, দেশী মদ-৩৮৫ কেজি, বিদেশী মদ-২৪০০ কেজি, বিয়ার ৫,৫০০ বোতল, অস্ত্র জব্দ হয়েছে …।টি
আর মামলা হয়েছে ১৬,৭৫০টি।
মাদক নিয়ন্ত্রণে কর্মতৎপরতা নিয়ে এসএটিভির সাথে খোলামেলা কথা বলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার । এ সময় তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের চিত্র তুলে ধরেন।তিনি বলেন, মাদক নির্মুল করতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিপ্তরের লোকবল বাড়ানোর পাশাপাশি অন্য সংস্থার মতো অস্ত্রসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
অবৈধ মাদকদ্রব্য প্রবেশ বন্ধে ভারত-মিয়ানমারের যৌথ বৈঠকসহ নানা পরিকল্পনার কথাও জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক।মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সনীতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে চোরাকারবারীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অদিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বার।