গত দুই দিনে বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে

- আপডেট সময় : ০২:১১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৪৫ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশেই শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই গত দুই দিনে বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে আগামী সপ্তাহ থেকে আবারো সারাদেশের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে উত্তরাঞ্চলের জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেরুচ্ছেন সবাই। মহাসড়কগুলোতে গাড়ি চলতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলছে শীতবস্ত্রের বিতরণ।
কুড়িগ্রামে চলমান শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমুল ও হতদরিদ্র মানুষেরা। আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গোপালগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে। হিমেল হওয়ার কারণে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে জেলার ছিন্নমূল, গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। কুয়াশায় ভোরে মহাসড়ক ও সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন।
মানিকগঞ্জে কুয়াশার সাথে কনকনে শীতে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার সাথে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের।
খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা নড়াইলে শীতের কৃষকের কষ্ট বেড়েছে। সকালে চাষীরা বেরিয়ে পড়েছেন বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কাজে। এছাড়া শাক-সবজী চাষ ও সবজি বাজারজাত নানা কাজ অব্যাহত রেখেছে।
হালকা শৈত্য প্রবাহে সাতক্ষীরা জেলার বৃষ্টির ফোটার মতো টিপ টিপ করে পড়ছে ঘন কুয়াশা। সকাল ৬টায় সাতক্ষীরায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। জেলায় এবছর শীতবস্ত্র বিতরণে তেমন কেউ এগিয়ে আসেনি।
এদিকে, কুমিল্লায় হতদরিদ্র ও পথশিশুদের মাঝে ৫শ’ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর বিভিন্নস্থানে এসব কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর। এর আগে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিতরণ করা হয়।