মাঝারী শৈত্য প্রবাহে সারাদেশে শীত জেঁকে বসেছে

- আপডেট সময় : ০১:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
মাঝারী শৈত্য প্রবাহে সারাদেশে শীত জেঁকে বসেছে। উত্তরাঞ্চলে প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে তাপমাত্রা। ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত। ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ, কষ্টে পড়েছেন সব শ্রেণীপেশার মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে শীতবস্ত্র বিতরণ।
কুড়িগ্রামে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সরকারী ভাবে জেলায় ৩৫ হাজার কম্বল ও ৯ উপজেলায় গরম কাপড় বিতরণের জন্য ৬ লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
পঞ্চগড়ে বইছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় নিম্ন আয়ের লোকজন পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়ায়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ৯৮ শতাংশ। যে কারণে বেড়েছে কুয়াশা। মৃদু হিমেল হাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।
নড়াইলে শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কুয়োশা। শীতের কারনে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। জেলায় এবছর শীতবস্ত্র বিতরণে তেমন কেউ এগিয়ে আসেনি।
উত্তরের জনপদ পাবনায় সকাল থেকেই সূর্ষের দেখা মিললেও কমছে না শীতের তীব্রতা। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব।
মানিকগঞ্জে গত কয়েক দিন ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে। হিমলে বাতাসে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে তীব্র শীতে সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা।
হালকা শৈত্য প্রবাহে সাতক্ষীরা জেলার শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছেন। এর পরেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে তারা বের হচ্ছেন কাজের সন্ধানে।