সিরাজগঞ্জে তৈরি হচ্ছে ঝুট ও থান কাপড় দিয়ে বাহারি কম্বল
- আপডেট সময় : ০৮:২৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৬৯ বার পড়া হয়েছে
শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে তৈরি হচ্ছে ঝুট ও থান কাপড় দিয়ে বাহারি কম্বল। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে শিশুদের শীতের পোশাক। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপশি উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়ও এখন এসব বিক্রি হচ্ছে। তবে, স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণসহ সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পেলে এ শিল্পের আরো প্রসার ঘটবে বলে জানায়, সংশ্লিষ্টরা।
শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার শিমুলদাইড়, কুনকুনিয়া ঢেকুড়িয়া, বেলতৈল, ছালাভরা ও মাইজবাড়িসহ প্রায় ২০ গ্রামে কম্বল কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। দিন-রাত চলছে কম্বল তৈরির কাজ। বিশ্রামের সময় পাচ্ছেনা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ কারিগর। প্রায় দুই যুগ আগে অল্প পরিসরে ঝুট কাপড় দিয়ে এই কম্বল শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ শিল্পের সাথে জড়িত।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গার্মেন্ট থেকে ছাট কাপড় আনা হয়। তা জোড়া লাগিয়ে এবং নতুন থান কাপড় দিয়ে কম্বল ও শিশুদের শীতের পোশাক তৈরি করা হয়। দামে কম আর টেকসই হওয়ায় এই কম্বলের চাহিদা বেশি। সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে ঘিরে কাজিপুরে গড়ে উঠেছে কম্বলের বাজার।
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকার আসে এসব কিনতে। এখানে ৪৫ রকমের কম্বল পাওয়া যায়। এক’শ থেকে ১২’শ টাকায় কম্বল এবং ৪০ থেকে ২৫০ টাকায় শিশুদের শীতের পোশাক পাওয়া যায়। ব্যাংক ঋণ, স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেলে আরো প্রসার ঘটবে বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।
এই শিল্পের প্রসার ঘটাতে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানান, এই জনপ্রতিনিধি।
কারিগরদের প্রশিক্ষণ, কম সুদে ব্যাংক ঋনের ব্যবস্থা করাসহ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
সম্ভাবনাময় এই শিল্পের সুনাম দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা করে স্থানীয়রা।



















