উত্তরাঞ্চলের বেড়েছে শীতের তীব্রতা

- আপডেট সময় : ০৫:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
উত্তরাঞ্চলের বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এসব এলাকার জনজীবন। কষ্টে দিন পার করছেন খেটে খাওয়া ও স্বল্প আয়ের মানুষ। ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে।
সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়ায় সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমালয়ের কাছাকাছি এ জেলা হওয়ায় পঞ্চগড়ে সহজেই উত্তর–পশ্চিম দিক থেকে হিমালয়ের হিম বায়ু প্রবেশ করায় বেশি শীত অনুভুত হচ্ছে। সন্ধা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘনকুয়াশার সাথে পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোটার মতো কুয়াশা।
তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় দিনাজপুরে কমেছে শীতের দাপট। স্বস্তি ফিরেছে শীতার্ত মানুষের মধ্যে। তবে মৃদু হিমেল হাওয়া অব্যাহত থাকায় কৃষিশ্রমিকরা পড়েছেন বেশ বিপাকে।
নড়াইলে শীতের সাথে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কুয়াশা। কনকনে শীতের জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যানবাহনগুলি হেড লাইট জ্বালিয়ে চলা ফেরা করছে।
ঝিনাইদহে ঘন কুয়াশায় একটু কমলেও ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষ। সড়ক মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
মানিকগঞ্জে গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশা কম পড়লেও শীতের দাপট বেড়েছে। কনকনে শীতের সাথে হিমলে বাতাসে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদিকে, তীব্র শীতে বোরো বীজ তলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কৃষকদের।
ময়মনসিংহে জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত। কনকনে শীতের সাথে হিমেল বাতাস বাড়িয়ে দিচ্ছে দুর্ভোগ। শীত নিবারণের জন্য ফুটপাথ এবং বিপনী বিতানের গরম পোশাকের দোকানে ভীড় করছে মানুষ।
নেত্রকোনায় ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় যবুতবু হয়ে সাধারন মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা প্রভাব বেশি দেখা যায়। এতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
সাতক্ষীরা জেলায় কনকনে ঠান্ডা আর শীতের তীব্রতায় জন-জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সারাদিন হিমেল হাওয়া আর তীব্র শীতে জেলার উপকূলীয় এলাকায় নদী তীরবর্তী মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।