এবার পটুয়াখালীতে গুচ্ছগ্রাম নির্মানের ৬৪ মেট্রিক টন চাল তুলে কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০২:২৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৫৪ বার পড়া হয়েছে
কাজ না করেই এবার পটুয়াখালীতে গুচ্ছগ্রাম নির্মানের ৬৪ মেট্রিক টন চাল তুলে কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দ তুলতে মাষ্টাররোল জমা দেয়ার বিধান থাকলেও তা মানেনি অভিযুক্তরা। ইউএনও, পিআইও এবং ইউপি চেয়ারম্যান মিলে এ দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের আমরখালী চরে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেখানে মাটি ভরাটের জন্য সাড়ে ৬৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু, কোনো কাজ না করেই চাল তুলে কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে। এমন অভিযোগ করছে স্থানীয়রা। এ প্রকল্প বিষয়ে কিছুই জানেনা সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য।
ইউনিয়ন পরিষদের সব সদস্য নিয়ে রেজুলেশনের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়নের কথা। কিন্তু, বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান গোপনে সব করেছেন। এ তথ্য দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দুটি ডিও লেটারের মাধ্যমে প্রকল্পের পুরো বরাদ্দ তুলে নেন বলে জানান, খাদ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হননি বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান জাফর উল্লাহ।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বরাদ্দের এক চতুর্থাংশ তোলার কথা স্বীকার করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার। দুর্নীতি হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। কাজ না করে এর আগেও, জেলার কলাপাড়া উপজেলায় গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের এক কোটি ১২ লাখ টাকা লোপাট হয়েছে। চিহ্নিত এসব দুর্নীতিবাজদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।