শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে মুখোমুখি সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধিরা

- আপডেট সময় : ০৫:২২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫২৮ বার পড়া হয়েছে
শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে এখন মুখোমুখি সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধিরা। এরইমধ্যে নকশা দেখিয়েই টাকা বরাদ্দ নিয়ে এসেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। জেলা পরিষদের জায়গায় ভিস্তিপ্রস্তর স্থাপনও করছেন তারা। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের এ কাজকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে জেলা পরিষদ নিজেদের টাকাতেই শহীদ মিনার নির্মাণ করতে চায়।
১৯৫২ সালের ২১ফেব্রুয়ারি রাতেই রাজশাহী কলেজ হোস্টেলেই সামনে দেশের প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। যদিও এখনো এর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পরেও রাজশাহীতে নেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবছর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। নকশাও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সাড়ে ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দও পাওয়া গেছে। জায়গা নিয়ে সমঝোতার আগেই শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্তে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করায় বেঁকে বসেছেন এর চেয়ারম্যান।
এমন পরিস্থতিতে সিটি মেয়র সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শহীদ মিনার জেলা পরিষদের জমিতেই নির্মিত হবে।শহীদ মিনারের প্রশ্নে বিতর্ককারীরা দলে অনুপ্রবেশকারী বলেও মন্তব্য মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ নেতা ও স্থানীয় এমপি। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
মহান বিজয় দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ও ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু।