ভোর হলেই আলম চৌকিদারের অপেক্ষায় থাকে শালিকের দল
- আপডেট সময় : ০২:৩৩:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
ভোর হলেই আলম চৌকিদারের অপেক্ষায় থাকে শালিকের দল। প্রতিদিন নিজের আয় থেকে কিছুটা বাঁচিয়ে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় পাখিকে খাওয়ান তিনি। করোনাকালেও বাদ যায়নি একটি দিন। প্রতিদিন শত শত শালিক উড়ে আসে মাদারীপুরের কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে। এভাবে গত সাত বছর ধরে অসংখ্য পাখিকে খাওয়াচ্ছেন তিনি। এ ব্যাপারে ত্রাণ বিভাগ থেকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
ভোরের আলো ফোটার তখনো কিছুটা বাকি। উড়ে আসছে শত শত শালিক। বৈদ্যুতিক তার ও দোকানের কার্নিশে সারি বেঁধে বসছে তারা। ধীরে ধীরে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দোকানিসহ নানা শ্রেণির মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে।এরই মধ্যে চা দোকানি আলম চৌকিদার পাউরুটির টুকরো ছড়িয়ে দেন তার দোকানের সামনে।
প্রতিদিনের মতো তখন নাস্তা শুরু করে শালিকের ঝাঁক। গত সাত বছর ধরে আলম চৌকিদার এভাবে খাবার খাইয়ে পাখিগুলোর বন্ধু হয়ে উঠেছেন। এমন নান্দনিক দৃশ্য উপভোগ করেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার পাচ্ছে না পাখিগুলো। সরকারি বরাদ্দ পেলে শালিকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানান, পাখিপ্রেমী চা দোকানি আলম।
এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন, জেলা প্রশাসক। পাখি সংরক্ষনে কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চায় এলাকাবাসী।


















