মাস্ক কেলেঙ্কারিতে কালো তালিকাভূক্ত জেএমআই’ পেলো পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কার্যাদেশ

- আপডেট সময় : ০২:১৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
সরকারের কাছে কালো তালিকাভূক্ত এবং দুর্নীতির অভিযোগ বিচারাধীন জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডকে আবারও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ের কার্যাদেশ দিয়েছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। অভিযোগ রয়েছে, সর্বনিম্ন দরদাতার চেয়ে প্রায় তিনকোটি টাকা বেশি দিয়েও অধিদপ্তরের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সহায়তায় কার্যাদেশ পেয়েছে জেএমআই।
করোনা মহামারির শুরুর দিকে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালসহ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মাধ্যমে এন-৯৫ ব্র্যান্ডের মোড়কে সাধারণ ও নিম্ন মানের মাস্ক সরবরাহ করার অভিযোগ ওঠে মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে।
দুটি চালানের মাধ্যমে জেএমআই সিএমএসডিতে ২০ হাজার ৬০০ পিস মাস্ক সরবরাহ করেছিল। চালানে মাস্কগুলোকে এন-৯৫ ফেস মাস্ক -অ্যাডাল্ট হিসেবে উল্লেখ ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিদর্শনে উঠে আসে, যে মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে বাস্তবে তা এন-৯৫ মাস্ক নয়।
কেলেঙ্কারির এই ঘটনায় তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। পরে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এসব অভিযোগের প্রমান মেলায় মামলা দায়েরের পর জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে দুদক।
যে প্রতিষ্ঠান সরকারের কাছে কালো তালিকাভূক্ত এবং দুর্নীতির অভিযোগ বিচারাধীন এমন কোম্পানিকে আবারও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ের কার্যাদেশ দিচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।
সম্প্রতি একটি ট্রেন্ডার যাচাই বাচাই করে চারটি প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করে কাজ দিতে। সর্বনিম্ন দরদাতার চেয়ে দুই কোটি ৭৮ লাখ বেশিতে ৩ নাম্বারে থাকা জেএমআইকে কাজ পাইয়ে দিতে তৎপর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের একটি সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, গত ১০ বছর ধরে এই সিন্ডিকেট নিজেদের খেয়ালখুশি মত কাজ দিয়ে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
প্রশ্ন উঠেছে জেএমআইয়ের বিরুদ্ধে এতসব অভিযোগ সত্তেও বেশি টাকার বিনিময়ে কাজ দেয়া নিয়ে। এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তের পরিচালক লজিস্টিকের দপ্তরে এসএটিভি অনুসন্ধানী টিম।
কিন্তু এই টেন্ডারের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা পরিচালক রত্না তালুকদার মাত্র ৫ মিনিট আগে অফিস প্রবেশ করলেও এসএটিভিকে দেখে তখনই বের হয়ে যান। জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারবে না বলে সাফ জানান।
এ ব্যাপারে জানতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানুর সাথে যোগাযোগের চেস্টা।দুদিন গিয়েও তাকে পাওয়া যানি। ফোনে কথা বলার চেস্টা কিন্তু তিনিও কোন কথা বলবে না বলে জানান তার পিএ মতিউর রহমান।
সরকারী কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকায় সকল পর্যায়ে দুর্নীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না উল্লেখ করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কারণে দূর্নীতিবাজরা বেপরোয়া।