১৯ বছর অতিবাহিত হলেও নগরীর উন্নয়নের এলাকা বাড়ছে না

- আপডেট সময় : ১২:২৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার ১৯ বছর অতিবাহিত হলেও নগরীর উন্নয়নের এলাকা বাড়ছে না। এই সময়ে উন্নয়নের নামে ব্যয় হয়েছে কয়েশ’কোটি টাকা। নগরবাসীর অভিযোগ, ওই টাকা পরিকল্পিতভাবে ব্যয় হয়নি। একই উন্নয়নে বারবার বরাদ্দ দেয়া এবং নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে, উন্নয়ন একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। উন্নয়নের পরিধি বাড়াতে হলে পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজন বলে মনে করেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টরা।
তিন কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ব্যবহৃত টর্চার সেল ও বাংকার সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধনের পূর্ব মুহূর্তে বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর তা ভেঙ্গে একই স্থানে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তবে ওই প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন কর্মকর্তারা।
৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে নগরীর অংশে ৩ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করে সিটি কর্পোরেশন। সড়কটি ভেঙ্গে নতুনভাবে করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ্যানেক্স ভবনে থাকা রেস্ট হাউস ভেঙ্গে ভিতর ও বাহিরে আধুনিকায়ন করে মেয়রের বসার স্থান করা হয়। একই জায়গায় বারবার উন্নয়নে এগিয়ে রয়েছে সড়ক নির্মান।
নগরীতে উন্নয়নের পরিধি বাড়াতে কাউন্সিলদের সাথে সমন্বয় করে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার দাবি জানালেন নগরবাসী। পরিকল্পনা মাফিক টেকসই উন্নয়ন হলেই উন্নয়নের পরিধি বাড়বে বলে জানালেন সিটি কর্পোরেশনের পরিকল্পনাবিদ। নগরীর উন্নয়নের পরিধি না বাড়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান মেয়র। তবে কথা বলেন টর্চার সেল ও বাংকার সংরক্ষণ প্রকল্পের বিষয়ে। বর্তমান মেয়র ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে নগরীর অভ্যন্তরে ৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মান করেছেন। এভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হলে, উন্নয়নের পরিধি বাড়বে বলে মনে করেন নগরবাসী।