হেমন্তের শেষে এসে শীত জাঁকিয়ে বসেছে সারাদেশে

- আপডেট সময় : ০২:০২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
হেমন্তের শেষে এসে শীত জাঁকিয়ে বসেছে সারাদেশে। সূর্যের দেখা নেই কোথাও। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা। উত্তরের জনপদে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বেড়েছে শীতজনিত রোগ।
ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ অবস্থায় হতদরিদ্র মানুষজন তীব্র শীত কষ্টে ভুগলেও সরকারী ও বেসরকারীভাবে শীত বস্ত্র বিতরণের কোন তৎপরতা চোখে পড়ছে না।
উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুরে বাড়ছে শীতের দাপট। কুয়াশার কারণে দুতিনদিন ধরে সারাদিনেও দেখা মিলছে না সূর্যের। চরম বিপাকে জেলার ১৩টি উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষ।
ময়মনসিংহে হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমেল হাওয়ার সাথে ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গত পাঁচদিন ধরে জেলায় সূর্যের কোন দেখা নেই।
নড়াইলে কুয়াশার পাশাপাশি বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। বেড়েছে শ্রমজীবি মানুষের দুর্ভোগ। সকালে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বেরুচ্ছেন না। তবে শ্রমজীবিরা রয়েছেন কর্মস্থলে। ভ্যান-রিক্সা চালকের সকালে রাস্তায় বের হলেও তেমন যাত্রী পাচ্ছে না।
মানিকগঞ্জে গেল কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষেরা। সারাদিনেও মিলছে না সূর্যের দেখা। কনকনে শীত ও হিমেল বাতাসে শীতজনিত রোগ বাড়ছে।
পটুয়াখালীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা, সেই সাথে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত শিশু রোগ। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। শ্বাস নালী এবং খাদ্য নালীর জটিলতার কারনে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ।
সাতক্ষীরায় জেলার বিভিন্ন সড়কে কুয়াশায় হেড লাইট জালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
নেত্রকোনায় প্রচন্ড শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিপাকে পড়েছেন সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠান্ডায় গবাদি পশুদের গরম কাপড় পড়িয়ে রাখা হয়েছে
ঘনকুয়াশায় চাঁদরে ঢাকা পড়েছে চুয়াডাঙ্গা। গত ৩ দিন সূর্য্যের তাপ না থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কোথাও কোথাও বৃষ্টির ফোঁটার মত পড়ছে কুয়াশা। হেডলাইট জালিয়ে গাড়ী চলাচল করছে। দিনমজুররা কাজে যেতে পারছে না।