স্ক্র্যাপ সংকটে স্থবির হয়ে পড়ছে ইস্পাত কারখানাগুলো
- আপডেট সময় : ০২:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
স্ক্র্যাপ সংকটে স্থবির হয়ে পড়ছে ইস্পাত কারখানাগুলো। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত এক মাসে রডের দাম প্রতি টনে বেড়েছে ১০ হাজার টাকারও বেশি। ইস্পাত শিল্প মালিকরা জানান, করোনার কারণে বন্ধ থাকা কারাখানাগুলো এখন একসঙ্গে উৎপাদনে যাওয়ায় প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপের দাম বেড়ে গেছে। দ্রুত এই সংকট না কাটলে বন্ধ হয়ে যাবে অনেক রিরোলিং মিল। জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকরা বলছেন, আগাম করের বোঝা ও বাজেটে প্রণোদনা না পাওয়ায় জাহাজ কিনতে পারেননি তারা।
দেশের সম্ভাবনাময় ইস্পাত শিল্পের প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপ লোহা। সীতাকুণ্ডের সাগরপাড়ে গড়ে ওঠা শতাধিক শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডই এই স্ক্র্যাপ লোহার প্রধান যোগানদাতা। কিন্তু, সারাদেশে গড়ে ওঠা পাঁচ শতাধিক রি-রোলিং মিলের চাহিদার পুরোটা মেটেনা এখান থেকে। তাই আমদানি করতে হয় বিপুল পরিমান স্ক্র্যাপ লোহা।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন সবকিছু স্থবির থাকায়, স্ক্র্যাপের আন্তর্জাতিক বাজারে দেখা দিয়েছে ঘাটতি। টন প্রতি এক’শ থেকে দেড়’শ ডলার বেশি দিয়েও মিলছে না স্ক্র্যাপের নাগাল। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই এই শিল্পে ধস নামবে বলে জানান, সংশ্লিষ্টরা।
স্ক্র্যাপ লোহার প্রধান উৎস জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প। আগে বছরে আড়াই’শর বেশি পুরোনো জাহাজ ভাঙ্গা হতো। এ বছর এক্ষেত্রেও সংকট চলছে।
বাংলাদেশ, ভারত আর পাকিস্তানের হাতেই বিশ্বের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের নেতৃত্ব। করোনাকালে ওই দুই দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের সরকারের সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু দেশের ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হয়েছে বলে জানান, এই খাতের উদ্যোক্তারা।
ব্যাংকিং সেক্টরের সহযোগিতা আর বাজার স্থিতিশীল থাকলে সংকটের মাঝেও এই শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করেন, সংশ্লিষ্টরা।



















