সৌদিতে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণিল সাংস্কৃতিক উৎসব “পাসপোর্ট টু দ্য ওয়ার্ল্ড”
- আপডেট সময় : ০৩:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
- / ১৯৪৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ, ভারত, সুদান ও ফিলিপাইন—এই চার দেশের অংশগ্রহণে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বর্ণিল সাংস্কৃতিক উৎসব “পাসপোর্ট টু দ্য ওয়ার্ল্ড”। দাম্মামের স্ক্যান পার্ক ও জেদ্দার শরাফিয়া আল ওরুদ পার্কে অনুষ্ঠিত এই উৎসব রূপ নেয় জনসমুদ্রে।
উৎসবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জেমস, ইমরান, পরশী ও ঐশী তাঁদের পরিবেশনায় মঞ্চ মাতিয়ে তোলেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা শিল্পীদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে গানে গানে গড়ে তোলেন এক অভাবনীয় আবেগঘন পরিবেশ।
জেমসের গিটারের ঝংকার আর পরশী, ইমরান ও ঐশীর কণ্ঠে সুরের ঢেউ যেন প্রাণের বাঁধ ভেঙে দেয় লৌহিত সাগরের তীরে। একঘেয়েমি কর্মজীবনের ক্লান্তি ভুলে প্রবাসীরা পান এক টুকরো আনন্দ ও প্রশান্তির স্বাদ।
সৌদি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কৃতি-প্রেমী দৃষ্টিভঙ্গিতে আয়োজিত এই উৎসবে স্থান পায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, নকশি কাঁথা, হস্তশিল্প ও গ্রামীণ সংস্কৃতি। এ আয়োজন দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও এই উৎসবকে কাজে লাগান দেশীয় পণ্যের প্রচারে। হস্তশিল্প, গার্মেন্টস ও রেস্টুরেন্টসহ নানা পণ্যের স্টল দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে।
সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর থেকে আগত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে আরও এমন আয়োজনের প্রত্যাশা তাঁদের।
সৌদি জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট আয়োজিত
পাসপোর্ট টু দ্য ওয়ার্ল্ড” আয়োজনে বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার সমন্বয় ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন অপারেশন ম্যানেজার ফকির আল আমিন অপারেশন ম্যানেজার ইয়াসিন পারভেজ। তাঁরা সৌদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন:
“বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত। সৌদি সরকারের সহায়তা ও সংস্কৃতিমনা দৃষ্টিভঙ্গির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। এই ধরনের আয়োজন শুধু বিনোদনই নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব, সহমর্মিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক শক্তিশালী সেতুবন্ধন তৈরি করে।
সৌদি জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির কনসালটেন্ট সারি সাবান বাংলাদেশি কমিউনিটির ঐক্য ও সাংস্কৃতিক উপস্থাপনায় মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করেন।
এই আয়োজন যেন হয়ে উঠেছিল সৌদি প্রবাসীদের জন্য এক গর্বিত ও স্মরণীয় সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা।

















