সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি : অপ্রতুল ত্রাণ কার্যক্রম

- আপডেট সময় : ০৫:২৬:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
- / ১৫৮৬ বার পড়া হয়েছে
ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, জামালগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারন করেছে। ২৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় বন্ধ রয়েছে। ২৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্তদের ভিড় বাড়ছে। পানিবন্দী লাখো মানুষ।
ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলা-ইউনিয়ন। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরেও ঢুকছে বন্যার পানি। ভেঙে গেছে ঘর-বাড়ী, রাস্তাঘাট। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বোরো ধান। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
বেশ কয়েকদিন ধরে ঘরে বন্যার পানি, তাই রান্নার চুলা বন্ধ। ভোগান্তিতে বানভাসি মানুষ।
ছাতকে সিলেট সড়কের ১৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১০ কিলোমিটারই পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ও যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ বেড়ে গেছে আরো কয়েকগুণ। পানির চাপে ভেঙ্গে গেছে সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কের রামনগর ব্রীজ। বিদ্যুৎবিহীন দোয়ারাবাজার উপজেলা।
সুনামগঞ্জের ৫ উপজেলার ২৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করার সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দোয়ারাবাজার ও ছাতকের গুরুতপূর্ণ পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকে নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২৮টিতে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের ঘোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বইছে বিপদসীমার উপরে।
মোবাইল ফোনে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যার্তদের মাঝে নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১৫ টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে।
সবাই পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বন্যার্ত মানুষের।