সিলেটে সুরমা,কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

- আপডেট সময় : ০২:২৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
- / ১৫৯০ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দু’একটি পয়েন্টে সামান্য কমলেও সুরমা,কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর একাধিক স্থানে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে বন্যা কবলিত হতে পারে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা। স্থানীয় বাসিন্দাদের রাত দিন কাটছে আতংকে। সীমিত ত্রাণ তৎপরতা চললেও বানভাসীরা খাদ্যসহ নানা সংকটে রয়েছে।
সিলেট জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। নগরীর দু’এক জায়গায় পানি কিছুটা কমলেও, জেলার ১৩ উপজেলা এখনো বানের পানিতে ভাসছে।
বিয়ানীবাজারের শেওলায় পাঁচ ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এখানকার ৭০ হাজার মানুষ নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কুশিয়ারা নদীর একাধিক স্থানে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বামতীরে মনু প্রকল্পের মাছুখালি পয়েন্টে যে কোন সময় ভেঙ্গে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা বন্যা কবলিত হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের রাত দিন কাটছে আতংকে।
শেরপুর,কাশিমপুরসহ ৫টি পয়েন্টে কুশিয়ারায় পানি বাড়ছে। সহসাই কমার কোন লক্ষণ নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশী জানান, সিলেটে প্রধান নদীগুলোর পানি এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত কমলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
জেলায় ৩২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। খাদ্যসহ নানাবিদ সংকটে রয়েছে বানভাসী মানুষ। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিট পানিবন্দীদের মাঝে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করছে।
বন্যা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে এসে সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জৈন্তাপুরে ত্রাণ বিতরণ করেন। শনিবার ত্রাণ বিতরণকালে বানভাসিদের মধ্যে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।