সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় ২৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি

- আপডেট সময় : ০২:৫০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
- / ১৫৬৯ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার ১৩ উপজেলার অন্তত ২৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সাড়ে সাত’শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ভারতের মেঘালয় ও আসামে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে উল্লেখ করে সহসা পানি কমছে না বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইঘাটের উজানে ভারত থেকে মায়াবী ঝর্ণাসহ বিভিন্ন পাহাড়ি ছড়া দিয়ে এভাবেই বিরামহীন গড়িয়ে পড়ছে পানি।
এ সব পাহাড়ি ঝর্ণার পানি ভারতের মেঘালয় ও আসাম থেকে নেমে আসা শতাধিক পাহাড়ি ছড়ার পানির সঙ্গে মিলে সিলেটে প্রবেশ করছে।এতে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, জেলার ১৩ উপজেলায় অন্তত ২৫ লাখ মানুষ ইতিমধ্যে পানিবন্দি হয়েছে। তবে সবচেয়ে দুরবস্থায় রয়েছে ১৩ লাখ মানুষ। সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ এবং সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, ,দক্ষিণ সুরমা,ওসমানীনগর,বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ এই ১৩ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
বন্যার কারণে, বিশুদ্ধ খাবার পানি, খাদ্য ও শৌচাগার সংকটে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বানবাসী মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র,ঔষধের দোকানে পানিতে তলিয়ে থাকায় চাইলেই পাওয়া যাচ্ছে না পণ্যসামগ্রী।
আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিলেও সেখানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। গদাগাদি করে চরম দুর্ভোগে মধ্যে অনাহারে-অর্ধহারে দিন কাটছে বন্যার্তদের।
জেলায় অন্তত সাড়ে ৭ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে এরমধ্যে সাড়ে ৫শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আর দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
ট্রান্সফরমার ও সাব-স্টেশন পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ, জকিগঞ্জ, কোম্পানিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, ফেঞ্চুগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমাসহ কয়েকটি উপজেলার বেশিরভাগ এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
সিলেট নগরীর বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। পানি নিস্কাশনের গেট বিহীন নালাগুলো সুরমা নদীতে সংযুক্ত থাকায় নদীর পানিউপচে প্রবাহিত হওয়ায় ড্রেন দিয়ে তা শহরে প্রবেশ করছে।
ভারতের মেঘালয় ও আসামে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই সহসা পানি কমছে না বলে আভাস দিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।