সিলেটে বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে

- আপডেট সময় : ০৫:২৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
- / ১৫৬৫ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের। মহানগরের কয়েকটি এলাকা থেকে পানি কমতে শুরু করলেও সার্বিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দু’একদিনের মধ্যে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করবে।
সিলেট মহানগরীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পানি নামতে শুরু করেছে। মহানগরীর বেশ কিছু এলাকার ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমেছে। তাই আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।
তবে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে সিলেট পয়েন্টে। ক্রমাগত বাড়ছে কুশিয়ারার পানি।
কাশিমপুর পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ফেঞ্চুগঞ্জে, কাশিমপুর ও শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায়, মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
বেশিরভাগ আশ্রয় কেন্দ্রে এখনও সরকারি ত্রাণ পৌছায়নি। অনাহারে অর্ধহারে বাসভাসি নারী-পুরুষ ও শিশুদের দিন কাটছে। বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় বানভাসিদের সংকট আরও বেড়েছে। ত্রাণ নিয়ে অনেক জায়গায় হাহাকার অবস্থা। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, বন্যার্তদের মাঝে ৩২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা ও বিপুল পরিমাণ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। পানি বাহিত চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়ছে। সিভিল সার্জন অফিস বলছে, পানিবাহিত রোগের বিস্তাররোধে ১৪০ টি মেডিকেল টিম বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার্তদের সেবায় কাজ করছে।
২৬ মে’র পর বৃষ্টিপাত কমে যাবার কথা জানিয়েছে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ।
খুব শিগগিরই নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পূণ্যভূমি সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটবে-এমন প্রত্যাশা সবার।