সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

- আপডেট সময় : ০২:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
- / ১৫৫৬ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে। সুরমা কুশিয়ারাসহ সব নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি থাকায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন জেলার লাখো মানুষ। অপ্রতুল ত্রাণ কার্যক্রম। বিশুদ্ধ পানির অভাবে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ। বন্যার্তদের সহায়তায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এক সপ্তাহে পানিতে ভাসছে বিভাগীয় শহর সিলেট। রাত-দিন ভারি বৃষ্টিপাতে সিলেটে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বন্যার পানি। পাল্লা দিয়ে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে ১৩টি উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের বানভাসি লাখো মানুষ। পানির তোড়ে ভেসে গেছে বসতঘর, ভেঙ্গে গেছে সড়ক-সেতু। ডুবে গেছে মহানগরীর সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার।
বানের পানি ঢুকে পড়েছে বেশ কিছু আশ্রয় কেন্দ্রেও। শিশু খাদ্য, বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকটে দুর্ভোগ এখন চরমে। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে পানিবাহিন নানা রোগ।
অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে এপ্রিলে তলিয়ে যায় হাওরের বোরো ফসল। এরই মধ্যে আবারও দেখা দিয়েছে বন্যা। বন্যা কবলিত ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টির সঙ্গে সিলেট জেলার সড়ক যোগাযোগ ভেঙ্গে পড়েছে। সরকারের ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। সহায়তা নিতে গিয়ে কাড়াকাড়ি পরিণত হচ্ছে ধস্তাধস্তিতে। অনেকই ত্রাণ পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন।
এই মুহূর্তে বন্যার্তদের জন্য প্রয়োজনীয় সব খাদ্যসামগ্রী, বিশুদ্ধ পানি, ঔষধ এবং আশ্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা জরুরি, জানালেন সিটি মেয়র।
সরকার বন্যার্তদের পাশে নেই জেলা বিএনপি এমন অভিযোগ জানালেও, বানভাসিদের সহায়তায় এই দলটির কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি।
সিলেটে ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত থাকবে এমন আশঙ্কার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দ্রুত রক্ষা পেতে মরীয়া বানভাসি মানুষেরা।