সিলেটের দুর্গত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট চরমে

- আপডেট সময় : ০৭:২৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২
- / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরমাসহ নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও, নগরীর বাসা-বাড়ির পাশাপাশি সড়ক-মহাসড়ক এবং ১৩ উপজেলার বেশিরভাগ জায়গা এখনও ডুবে আছে। কুশিয়ারার পানি বাড়ায় ৬ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। দুর্গত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকটের পাশাপাশি স্যানিটেশন সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে যাওয়া শহর-গ্রাম,সড়ক-মহাসড়ক এখনও পানিতে নিমজ্জিত। তবুও জীবণের চাকা থামছে না। ঝঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ছে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন।
শহর-গ্রাম নির্বিশেষে বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে হাহাকার চলছে। সর্বনাশা বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে অন্য জেলা থেকে স্বজনের খোঁজে এসে, না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন অনেকে।
না খেয়ে লাখ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নলকূপ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই বানের পানি পান করছে। সরকারিভাবে যে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুশিয়ারার দুইতীরে বিয়ানীবাজার, বালাগঞ্জ,ওসমানীনগর, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৪ লাখ লোক নতুন করে বন্যা কবলিত হয়েছে।
সিলেটকে বন্যা মুক্ত রাখতে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় নিতে হবে সুরমা নদী খনন প্রকল্প।
বন্যার্তদের জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করছে সরকার বলে জানালেন, এই জনপ্রতিনিধি।
বন্যার্তদের প্রয়োজনে সবকিছু করা হবে বলে জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে আসবেন বলে জানান ইমরান আহমদ।