সাংবাদকর্মীদের হত্যার ও হামলার বিচারের দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম

- আপডেট সময় : ০৮:০৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
- / ২২৪৪ বার পড়া হয়েছে
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গেল ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদীসহ নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচারের দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাধারণ সাংবাদিকরা।একই দিনে রাজধানীর বাড্ডায় দায়িত্বপালন কালে, এসএটিভির স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হামিদ সোহান খান সহ বিভিন্ন এলাকায় গুরুতর আহত হয় অসংখ্য গণমাধ্যমকর্মী।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ে ‘গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি’তে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বিচারের দাবি তুলে ধরেন।
এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আহত সাংবাদিকরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
সাংবাদিকেরা বলেন , মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের দাবী তাদের ওপর কোনো শিক্ষার্থী হামলা করেনি। বরং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন তাদেরকে ঘিরে ধিরে মারধর করেছে।
আরেক সাংবাদকর্মী বলেন, সাধারণ সাংবাদিকরা আসলে কোথায় যাবো। তাদের নিরাপত্তা দেবে কে? এই ঘটনায় চারজন সহকর্মীদের হারানোর কারনে ক্ষোভ জানান। সাংবাদিককর্মীরা আরো বলেন, বহু ভাই-বোন আহত, রাষ্ট্র কি তাদের খোঁজ নিয়েছে? এমন কি খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে নি।গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিটি মুহুর্তে আতঙ্কে মধ্য দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তাদের সুরক্ষায় সরকারের প্রতি জোড় দাবীও জানান গণমাধ্যমকর্মীরা।
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতাদের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, আমাদের যে সকল সাংবাদিক নেতারা আছেন তারা শুধু টেলিভিশিনের টকশো তে এসে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের যে গালগল্প সেটি শুরুই তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। বাস্তবে তারা কিছুই করেন না। বরং তারা মাঠের সাংবাদিকদের মাথা বিক্রি করে চলেন। বাস্তবে তারা সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কিছুই করেন না।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপন দেওয়ান বলেন, সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনে জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারী দেন গণমাধ্যমকর্মীরা।