সহযোগিতা বঞ্চিত শহিদ শাহাদাতের পরিবার: অবহেলায় কাটছে দিন

- আপডেট সময় : ০২:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহিদ হন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাহাদত ৷ একমাত্র সন্তান হারিয়ে পাগল প্রায় হতদরিদ্র মা শিরতাজ বেগম। নিজেদের শেষ বয়সের দেখা শুনার অবলম্বন নাতিকে হারিয়ে শোকে পাথর শাহাদাতের নানি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত ও নিহতদের পরিবার সরকারসহ নানা সংস্থা থেকে সাহায্য সহযোগিতা পেলেও শাহাদাতের পরিবারের ভাগ্যে এখনো তা জোটেনি।
জুলাইয়ের উত্তাল সময়ে যখন সরকার বিরোধী আন্দোলন তীব্র হয় ঠিক সময়ে ছাত্রদের সাথে আন্দোলনে যুক্ত হয় কিশোর শাহাদত হোসেন৷ ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের দিন দুপুরের পরে ফরিদগঞ্জ থানার সামনে গুলিতে প্রাণ হারায় শাহাদাত। পিতৃহীন শাহাদত নানি ও মায়ের কাছে থাকতো৷ মাদ্রায় লেখাপড়ার জন্যে ভর্তি করা হলেও অভাবের কারণে ৩ বছর পড়ালেখা করে দোকান কর্মচারী হিসেবে চাকরি শুরু করে৷
পৈত্রিক সম্পত্তি এবং বাড়ি না থাকায় নানা বাড়িতেই দাফন হয় তার। শাহাদাতের নানি মমতাজ বেগম বার বারই বললেন ‘২ আগস্ট বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় বলেছে তাড়াতাড়ি আবার আসবো। কিন্তু এসেছে লাশ হয়ে। নানি মমতাজ বেগম প্রতিদিন যান নাতির কবরের পাশে, করেন কান্না-কাটি।
৫ আগস্ট শাহাদাত মারা গেলে লাশ বাড়িতে এনে ৬ আগস্ট দাফন করা হয়। পরে এক সপ্তাহ পর আদালতের নির্দেশে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করা হয়। সাহাদাতের মৃত্যুর পরে এই পর্যন্ত অনেক লোকজনই এসেছে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য। তবে সরকারিভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা পাননি হতদরিদ্র শাহদাতের মা শিরতাজ বেগম।
সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন শাহাদাতের মা।
দ্রুত সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান এ জনপ্রতিনিধির।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে মা ও নানির মধ্যে কে হবেন শাহাদাতের ওয়ারিশ এই জটিলতার কারণে সরকারি সাহায্য পেতে দেরি হচ্ছে।