সরকারী ঘর নির্মান করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০১:৩০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহে সরকারী ঘর নির্মান করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ঘর পাওয়ার আশায় অনেক দরিদ্র লোকজন ঋন করে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ওই জনপ্রতিনিধির কাছে দিয়েছে। টাকা দেওয়ার কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও ঘর তৈরির কোন খরব নেই। এ বিষয়ে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি ভুক্তেভোগী পরিবারগুলোর।
“যার জমি আছে ঘর নাই” সরকারের এমন গৃহনির্মাণ প্রকল্পে নিজের ঘর হবে, এই প্রত্যাশায় ঋণ করেছেন ঝিনাইদহের কালীচরণপুর ইউনিয়নের বয়েড়াতলা গ্রামের বাসিন্দা ফাহিমা খাতুন। ১৬ হাজার টাকা বুঝে নেন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বিশার কাছে। কিন্তু তিন বছরেও স্বপ্নের ঘর পাননি তারা, টাকা ফেরত চাইলে উল্টো খারাপ আচরণ করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
একই গ্রামের কাশেম আলী, সংসার চলে তার ভ্যান চালিয়ে। একই প্রকল্পের আওতায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ১৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকবছর গেলেও ঘর-টাকা সব যেন মরীচিকা।
শুধু ফাহিমা কিংবা কাশেম নয় ইউনিয়নের ৬নং ওর্য়াডের অনেকেই ঘর তৈরি, টিউবওয়েল, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার আশায় ওই জনপ্রতিনিধির কাছে টাকা দিয়েছেন। টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দ্রুতই এর বিচার দাবি করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, প্রতিপক্ষরা তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রায় ২৫ টি পরিবারের ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা এখন ঐ জনপ্রতিনিধিদের কাছে। এমন অভিযোগ আরো আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা পাবেন এমন আশা করছেন ভুক্তভোগীরা।