সমুদ্র উপকূলের দস্যুরা আত্মসমর্পণ না করলে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

- আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৭১ বার পড়া হয়েছে
সমুদ্র উপকূলের দস্যুরা আত্মসমর্পণ না করলে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। দস্যুতা ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। আর যে-কোন স্থানে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের নির্মূলের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি ডক্টর বেনজীর আহমেদ। দুপুরে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৩৪ জলদস্যুর বিনাশর্তে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, খুলনা এলাকার দস্যুতা নির্মূলে কঠোর অভিযানে নেমেছে রেপিড একশন ব্যাটেলিয়ন- রেব।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কোণঠাসা হয়ে ২০১৮ সাল থেকে সুন্দরবনের জলদস্যুদের ধারাবাহিক আত্মসমর্পণের পর এবার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বাঁশখালী-কুতুবদিয়া-মহেশখালি-চকোরিয়া উপজেলার এগারটি দস্যুবাহিনীর জলদস্যুরা আত্মসমর্পণে অনুপ্রাণিত হন।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এনব জলদস্যুর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে রেব-সেভেন। এসময় স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর কাছে ৩৪ জলদস্যু ৯০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ হাজারের বেশী কার্তুজ জমা দেন।
এ সময় পুলিশ মহাপরিদর্শক সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বিভিন্ন তথ্যের সমালোচনা করেন। উপকূলীয় অঞ্চলের দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের হত্যা ও ধর্ষণ মামলা ছাড়া অন্যসব মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি প্রত্যেককে নগদ এক লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সমুদ্র অঞ্চলে কোন জলদস্যু বাহিনীকে আস্তানা গাড়তে দেয়া হবে না উল্লেখ করে আত্মসমর্পণ না করলে কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে এ পর্যন্ত ৪ শতাধিক জলদস্যু ও বনদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানানো হয় এ অনুষ্ঠানে।