শেরপুরে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চলছে ১০০ বেডেও কম জনবল দিয়ে

- আপডেট সময় : ১২:২৯:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
নামে ২৫০ শয্যার হলেও শেরপুর জেলা হাসপাতাল চলছে ১০০ শয্যারও কম জনবল দিয়ে।নেই চক্ষু, মেডিসিন, সার্জারি, ইএনটি, কার্ডিওলজি,শিশু রোগসহ বিভিন্ন বিভাগে সিনিয়র কনসালট্যান্ট। গাইনি বিশেষজ্ঞ আছেন মাত্র একজন। নেই পর্যাপ্ত ওষুধ। হাতেগোনা জুনিয়র কনসালটেন্টসহ কয়েকজন নার্স, আয়া থাকলেও চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। নার্স ও আয়াদের দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ রোগীরা। প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ শতাধিক রোগী ভর্তি থাকলেও পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা।
প্রতিদিনকার চিত্র এটি শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের, রোগীদের লম্বা লাইন। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকে দেখা মেলে চিকিৎসকের। আউটডোরে প্রতিদিন ১শ থেকে দুশ জন চিকিৎসা নেন ।
ভর্তিকৃতরাও পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত ওষুধ, যন্ত্রপাতি বিকল থাকায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হচ্ছে বাইরের ক্লিনিক থেকে । ফ্লোর,বাথরুমসহ নানা স্থানে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নেই- এমন অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের।
প্রায় ১৬ লাখ মানুষের বসবাস শেরপুরে। জেলার মানুষের সেবা দিতে সদর হাসপাতালটি ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও নিশ্চিত হয়নি ১০০ শয্যার মানও। হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বাড়লেও বর্তমানে কর্মরত চিকিৎসক রয়েছেন ৫৮ জনের মধ্যে ৩০ জন। অথচ ১০০ শয্যার জন্যই চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ ছিল ৩৬। নার্সের ৮৯টি পদের মধ্যে শূন্য আছে ৯টি। আয়া, ওয়ার্ডবয় এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট দীর্ঘদিনের।
হাসপাতালের আটতলাতে রোগী ও তার স্বজনদের যাতায়াতের জন্য দুটি লিফট থাকলেও হরহামেশায় আটকে যায় লিফট।
মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে এবং দ্রুতই সমস্যা কেটে যাবে বলে জানান হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার।
সংকট দূর করে খুব দ্রুতই জনগনের কাংখিত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা দেশের সীমান্তবর্তী এ জেলার মানুষের।