শিল্পখাতে ২য় ধাপে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা

- আপডেট সময় : ০১:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
অতিমারী করোনার প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন শিল্পখাতকে গতিশীল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ ধাপে ঘোষণা করেন ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ। কিন্তু ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি ও অনিয়মের বেড়াজালে ভেস্তে যেতে বসেছে এই মহতী উদ্যোগ। অভিযোগ উঠেছে, নানা অনৈতিক সুবিধা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে, এই আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হন করোনায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণে গেল বছর নতুন করে ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তৈরি পোশাক খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। নতুন চারটিসহ পাঁচটি প্যাকেজে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা, যা ছিল জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকা, শিল্প খাতে ৩০ হাজার কোটি, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে ২০ হাজার কোটি, কৃষিখাতে পাঁচ হাজার কোটি, রপ্তানি উন্নয়ন খাতে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় ৷ পরে শ্রমিকদের বেতন দিতে পোশাক খাতকে শতকরা চার শতাংশ সুদে আরো দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ দেয়া হয় ৷
এদিকে দেশের ক্ষতিগ্রস্থ শীর্ষ অনেক শিল্প ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বঞ্চিত হয়েছে এই সাহায্য থেকে। এসএ এ গ্রুপের মূল আর্থিক প্রতিষ্ঠান এস আহমেদ ট্রেডিং কর্পোরেশন অগ্রণী ব্যাংকের একটি শাখায় প্রথম আবেদন করে গেল বছরের ১৩ মে। এরপর ব্যাংকের সুপারিশেই সে বছরের ২২ নভেম্বর, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল, ৪ মে ও ১৩ মে পুনঃআবেদন করে দেশের এই শীর্ষ কুরিয়ার এন্ড পার্সেল, পরিবহন, এসএ টিভি, গ্রান্ড প্যালেস হোটেলসহ বহু সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের মাদার অর্গানাইজেশন এস আহমেদ ট্রেডিং কর্পোরেশন। যাদের প্রতিটি খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে করোনা সংকটে। কোন আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম বা ঋণখেলাপের ইতিহাস না থাকায় অগ্রনী ব্যাংক প্রতিবারই এই প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনার টাকা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে প্রতিবারই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ। কোন সুনির্দিষ্ট কারণও কোনবারই উল্লেখ করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
একই ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতা অন্য ব্যবসায়ীদেরও। তাদের অভিযোগ এই বিশেষ শাখাটি আর তার গুটি কয়েক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত অনৈতিকতা, নির্দিষ্ট কোম্পানীর সাথে আর্থিক ও অন্যান্য লেনদেন, উপর মহলের সুপারিশ এর জেরে বঞ্চিত হচ্ছেন মাঝারী ও ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তারাও।
তবে অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে গেলে বিরুপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মুখপাত্র।
করোনায় বিশ্ব স্থবির হলেও বাংলাদেশ সরকারই সবার প্রথমে অর্থনীতি সচল রাখতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই দূরদর্শীতার সুফল পেতে চায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।