শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের গ্রামীণ শিক্ষা ব্যবস্থা

- আপডেট সময় : ০২:৫৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০
- / ১৫৬৬ বার পড়া হয়েছে
করোনা সংক্রমণ রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের গ্রামীণ শিক্ষা ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন স্কুলে না যাওয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ফের বিদ্যালয়মুখী করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যোগাযোগ বহাল আছে। এই সংকটকালীন সময়ে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে হলেও কম সংক্রমিত এলাকার বিদ্যালয় খুলে দেয়ার পরামর্শ শিক্ষাবিদদের।
করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য টিভির পর্দায় ভার্চুয়াল ক্লাসসহ অনলাইন শিক্ষা শুরু করে সরকার। এই উদ্যোগ কতটা সফল- সে প্রশ্ন রয়েই গেছে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দুর্গম পাহাড়ি এলাকার এই পাড়াটিতে ৫৬টি পরিবারের বাস। বিদ্যুতের আলো এখনো আসেনি। আর আশপাশের ২ কিলোমিটারে নেই কোন টিভিও। ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব কী- তাও বোঝেন না এখানকার বাসিন্দারা। দুর্গম এই পাড়ার ২৮ জন শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয় আর ১৯ জন মাধ্যমিকে পড়ে। করোনায় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার সুযোগ থেকে দূরে তারা।
টানা বন্ধে প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকের কাঁধেই উঠবে সংসারের ভার। বাস্তবতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, একটি শিশুও যাতে বিদ্যালয় থেকে ছিটকে না পড়ে, সে ব্যাপারে নানামুখি পদক্ষেপ রয়েছে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিশুদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হলে বিদ্যালয়ের বিকল্প নেই। সিফট করে হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার পরামর্শ দেন তারা। শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে পৌছে দিতে বিনামুল্যে শিক্ষা উপকরণ, উপবৃত্তি প্রদানসহ সরকারের নানামুখী উদ্যোগ প্রসংশিত হয়েছে। কিন্তু করোনায় সামনে এসেছে নতুন চ্যালেঞ্জ।